ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আরোগ্য কামনায় বিশ্বনেতারা
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন। তার বর্তমান অবস্থায় দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এই অবস্থাকে ‘দারুণ মর্মঘাতী’ বলে মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করেছেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
সোমবার ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হওয়ায় তিনি দারুণ উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের সব নাগরিক তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন। ট্রাম্প বলেন, আমি তার সম্পর্কে জানি। তিনি একজন সবল মনোভাবের মানুষ। অবশ্যই সঙ্কট কাটিয়ে উঠবেন তিনি। তবে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করাটা ‘বড় ও বিপজ্জনক’ খবর বলে স্বীকার করেন তিনি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করে বলেন, নিশ্চয় তিনি সঙ্কট কাটিয়ে উঠবেন। বরিস জনসন ও তার পরিবারের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা ও সমবেদনা।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও বরিস জনসনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করেছেন। তিনি বলেন, আপনি শিগগিরই আপনার অফিসে ফিরে আসুন।
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভ্যারাডকার বলেন, আমাদের সব চিন্তা এখন বরিসকে নিয়ে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সুস্থতা কামনা করে একটি টুইট বার্তায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আমাদের দেশও খুব কঠিন সময় পার করছে। কিন্তু একতার মাধ্যমে আমরা আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারবো।
ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রী লুইগি ডি মাইয়ো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করে একটি টুইট বার্তায় বলেন, এই কঠিন সময়ে ইতালির জনগণ যুক্তরাজ্যের পাশে আছে। খুব দ্রুত সুস্থ হন বরিস জনসন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা কামনায় বার্তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। একটি টুইট বার্তায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেন বলেন, খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান বরিস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বার্তা দিয়েছে। একটি টুইট বার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, আমি আমার বন্ধু বরিস জনসনের কথা চিন্তা করছি। আমার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে তার জন্য শুভ কামনা।
আরেকটি টুইট বার্তায় নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তে বলেন, আশা করি খুব দ্রুত তার সঙ্গে সুস্থ অবস্থায় কথা বলতে পারবো। সুস্থ হলে বরিস জনসনের সুস্থতা কামনা করে ন্যাটোর পক্ষ থেকে একটি টুইট বার্তায় বলা হয়, বরিস দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে সেন্ট থমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। করোনা পজেটিভ আসার ১০ দিন পর তার শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা এবং তীব্র কাশির কারণে তাকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় জনসনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সে কারণেই এখন তাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে। সেখানে মূলত গুরুতর রোগীদেরই সেবা দেওয়া হয়। যদিও তাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে, তবে তার কার্যালয় বলছে যে, এখনও তার জ্ঞান আছে।
President @realDonaldTrump expressed America’s well wishes to Prime Minister Boris Johnson for a speedy recovery. pic.twitter.com/C3AfUuuVyv
— The White House (@WhiteHouse) April 6, 2020
Sending my best wishes to Prime Minister @BorisJohnson for a full and speedy recovery. My thoughts are with you and your family right now. Hope to see you back at Number 10 soon.
— Justin Trudeau (@JustinTrudeau) April 6, 2020
I am thinking of my friend @BorisJohnson tonight, and sending my and @WHO‘s heartfelt good wishes as he battles the #coronavirus. I know the @NHSuk and its dedicated 🇬🇧 #healthworkers will be looking after you. #COVID19 https://t.co/BwLl1nChVO
— Tedros Adhanom Ghebreyesus (@DrTedros) April 6, 2020