বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামী ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তা কার্যকর করা হয়। খবরটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় কারাগারে উপস্থিত হন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা। এছাড়াও অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ঢাকার সিভিল সার্জন আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান কারাগারে প্রবেশ করেছেন। এর আগে বুধবার রাতেই রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো তার প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আবদুল মাজেদের সাথে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিবারের ৫ সদস্য সাক্ষাৎ করেন। কারা কর্তৃপক্ষের ডাকে সাড়া দিয়ে মাজেদের স্ত্রী, শ্যালক ও চাচা শ্বশুরসহ ৫ সদস্য সেখানে ছুটে যান।
বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করতে জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে মো. আবুল, তরিকুল ও সোহেলসহ ১০ জন জল্লাদের একটি টিম তৈরি করে রেখেছে ঢাকা জেল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে প্রায় দু’দশক ধরে পলাতক আবদুল মাজেদকে গত সোমবার মধ্যরাতে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পরদিন বুধবার মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল মাজেদ। কারা সূত্র জানায়, প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করার কথা। তবে বৃহস্পতিবার রাতে শবেবরাতের কারণে ফাঁসি কার্যকর হয়নি।