এনএইচএস -এ বিএএমই স্টাফদের আধিক্য রয়েছে

করোনায় বিএএমই চিকিৎসকদের মৃত্যু: তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহবান

তারা সবাই সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোক, যা নিদারুন বিব্রতকর ও উদ্বেগের বিষয়

ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কেনো কৃষাঙ্গ, এশীয় ও সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোক কোভিড-১৯ এর কাছে অধিক অরক্ষিত এবং যুক্তরাজ্যে ভাইরাসে মৃত প্রথম ১০ জন চিকিৎসকের সবাই বিএএমই-এর লোক, এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। ঐসব মারা যাওয়া চিকিৎসকরা এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বংশোদ্ভূত। বিএএমই সভাপতি বলেন, এনএইচএস -এ বিএএমই স্টাফদের আধিক্য রয়েছে, যারা মেডিকেল স্টাফদের ৪৪ শতাংশ যা ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ। এতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে তারা সবাই সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোক, যা নিদারুন বিব্রতকর ও উদ্বেগের বিষয়।

ডাঃ চাঁদ নাগপল বলেন, যেভাবে দৃশ্যমান, সেই হিসেবে কীভাবে বলা যাবে, এটা কাকতালীয় ব্যাপার যে, মারা যাওয়া প্রথম ১০ জন ডাক্তারদের সবাই বিএএমই’র চিকিৎসক। শুধু তা-ই নয় বিএএমই’র দিক দিয়ে ইনটেনসিভ কেয়ারে থাকাদের এক তৃতীয়াংশই এই সংগঠনের। বিএএমই’র লোকেরা অনানুপাতিক হারে অসুস্হ হচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা শুনেছি ভাইরাস ব্যাক্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য করেনা কিন্তু এতে কোন সন্দেহ নেই যে, বিএএমই-এর চিকিৎসক ও লোকজনের মধ্যে আক্রান্তের ক্ষেত্রে অনানুপাতিক বৈষম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর সুরাহা হওয়া দরকার- সরকারকে অবশ্যই এখনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
১০ জন চিকিৎসক ছাড়াও মারা যাওয়া ৬ জন নার্সের মধ্যে ৩ জন বিএএমই’র। এদের একজন হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট এবং অন্ততঃ একজন হেলথ্ কেয়ার অ্যাসিস্টেন্ট। যুক্তরাজ্যে সামগ্রিক মৃত্যুর সংখ্যা নৃতাত্ত্বিকতার দ্বারা তছনছ হয়ে যায়নি, তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম ভাগের গবেষণায় দেখা গেছে যে, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের প্রায় ২ হাজার রোগীর শতকরা ৩৫ ভাগই অশ্বেতাঙ্গ।
নাগপাল বলেন, স্বাস্হ্য পেশাজীবিরা তাদের সহকর্মীদের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন এবং এটা তাদের কাছে অর্থবহ।
বিএমএ সভাপতি আরো বলেন, এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে এখনো কিছু বলা যাবে না, তবে এ বিষয়ে তদন্ত প্রয়োজন। তার ধারণা সমূহের মধ্যে লক্ষণীয় হচ্ছে অপর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরন্জাম (পিপিই) বিষয়ে অভিযোগ করতে বিএএমই’র চিকিৎসকেরা কম সক্ষম অনুভব করছেন কি-না। সংকটকালে এনিয়ে স্বাস্হ্যসেবা কর্মীদের মধ্যে বার বার অভিযোগ উত্থাপিত হতে দেখা যাচ্ছে, এটা তাদেরকে বিপদের মধ্যে নিপাতিত করেছে।
তিনি বলেন, বিএএমই ডাক্তাররা তাদের প্রতিপক্ষের শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসকদের তুলনায় অধিক ধমকা ধমকির এবং হয়রানির শিকার।পাল্টা বিতর্কের ভয়ে অর্ধেক ক্ষেত্রেই সম্ভবত: তারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন না।
তিনি আরো বলেন, বিশেষভাবে ব্যাপকভাবে অধিকাংশ হওয়ার কারণে বিএএমই চিকিৎসকদের মৃত্যু হতাশাব্যন্জক — আমি মনে করি, এটাই এখন সত্য হয়ে ওঠেছে যে, যারা বিদেশ থেকে এখানে এসেছে এবং এনএইএস-এর জন্য জীবন দিচ্ছে, জীবন দিচ্ছে অন্যের জীবন বাঁচাতে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button