অন্য রকম ইস্টার
জোরালো আশারবাণী শুনিয়ে ব্রিটেনের রাণীর বার্তা
রোববার ছিল সারা বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘ইস্টার সানডে’। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপে এবার অন্যরকম অভিজ্ঞতাই হলো যিশুভক্তদের। গির্জাগুলোতে অন্যবারের মতো কোলাহল নেই, কোথাও সাজসাজ রবও নেই। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মতে খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্টকে বিপথগামী ইহুদি শাসকগোষ্ঠী তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন শাসন ব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিল। মৃতু্যর তৃতীয় দিবস রোববার পুনরুত্থিত হয়েছিলেন যিশু। পুনরুত্থানের ওই রোববারটি ‘ইস্টার সানডে’ হিসেবে পরিচিত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কাছে।
লকডাউনের মধ্যে ইস্টার উপলক্ষে জোরালো আশারবাণী শুনিয়ে এক বার্তায় ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।’
রাণী ইস্টার বার্তায় বলেন, ‘আমরা জানি, করোনা সঙ্কট কাটিয়ে উঠব। করোনা বিষয়টি এখন গুরুত্বপূর্ণ এবং সুরক্ষার জন্য পরিষেবাগুলো বন্ধ রাখা হলেও ইস্টার বাতিল করা হয়নি।’
ইস্টার বার্তায় তিনি বলেন, এটি অন্ধকারকে কাটিয়ে ওঠার সময়।
রাণী আরো বলেন, ‘মৃত্যু যতই অন্ধকার হোক, বিশেষ করে যারা দুঃখে ভুগছেন, তাদের জন্য আলো এবং জীবন আরো বেশি। আমরা ভবিষ্যতের মুখোমুখি হওয়ার সাথে সাথে ইস্টারের জাগ্রত শিখা একটি স্থির আশার পথ প্রদর্শক হোক।’
এদিকে, লাউভ স্ট্রিমে ইস্টার সানডে উপলক্ষে দেয়া বার্তায় বিশ্ববাসীকে করোনায় ভয় না পেয়ে আশাবাদী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খ্রিষ্টানদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস। শনিবার সন্ধ্যায় অনুসারীদের উদ্দেশে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় দেয়া বক্তব্যে ফ্রান্সিস বলেন, ‘অনেকের জন্য এই ইস্টার মহামারীর কারণে সৃষ্ট শারীরিক ও অর্থনৈতিক মন্দায় দুর্ভোগ ও কষ্টের ভেতর একাত্মতা এনে দিয়েছে।’
করোনা সংক্রমণকে ‘আশার সংক্রমণ’ অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইতোমধ্যে মহা চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করছে এবং এই মুহূর্তে মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে আমাদের সমগ্র মানব পরিবারকে কঠোরভাবে পরীক্ষা করছে।’
ভ্যাটিক্যান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে প্রতিবছর বার্তা শুনতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় হলেও এ বছর চিত্র ছিল ভিন্ন। লকডাউনের কারণে সরাসরি অংশ নিতে না পারায় বেশিরভাগ ল্যাটিন ভাষায় গাওয়া ইস্টারের গানটি ১০ হাজার মানুষের জন্য লাইভস্ট্রিম হয়।