লালখানবাজারে মাদরাসায় আইপিএস বিস্ফোরণ : ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিতের চেষ্টা
চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখানবাজারে নেজামে ইসলাম পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর মাদরাসায় আইপিএস বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচ ছাত্র আহত হয়েছে। এছাড়া বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুনে একটি কক্ষের প্রায় সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিতের চেষ্টা চালায় নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমের নেতৃতাধীন কিছু লোকজন। তারা ঘটনাটি বোমা বিস্ফোরণ বলে দাবি করে মাদরাসা বন্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন। জানা গেছে, খুলশী থানার লালখান বাজারস্থ পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জমিয়তুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসায় (লালখান বাজার মাদ্রাসা নামে পরিচিত) সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের পরপরই ৪র্থ তলার মাদরাসাটির কিতাব রুমে আগুন ধরে যায়। দরজা জানালা থাই গ্লাস ভেঙ্গে যায়। রুমের চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। মাদরাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি ইজহারুল ইসলাম জানান, আইপিএস সংযোগ দেয়ার সময় মেশিন বিস্ফোরিত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি আব্দুল মালেক জানান, কী বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ বলছে আইপিএস বিস্ফোরিত হয়েছে। বিস্ফোরণে পাঁচ ছাত্র মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এরা হলেন আব্দুল্লাহ (২৬), আব্দুল খালেক (২৩), আমান উল্লাহ (২৪), আব্দুল জব্বার (২৪) ও করিম (২৬)। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসার শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পরপরই আসা পুলিশ কর্মকর্তারা আইপিএস বিস্ফোরণের ঘটনাকে অন্য দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। তাই তারা সাংবাদিকদের প্রকৃত ঘটনা না জানিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে।