তেল কিনলে উল্টো মিলবে ডলার!
যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম শূন্যের নীচে
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মার্কিন তেলের দামের এমন পতন ঘটলো
নিজের চোখকে বিশ্বাস না করার মতো ব্যাপার! করোনাভাইরাসের কারণে তেলের চাহিদা অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় আমেরিকার বাজারে তেলের দাম শূন্যের নীচে নেমে গেছে। অর্থাৎ এখন তেল বিক্রেতারা ক্রেতাকে তেলের পাশাপাশি কিছু ডলারও দিয়ে দিতে বাধ্য হবেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মার্কিন তেলের দামের এমন পতন ঘটলো। মে মাসে সংরক্ষণ ক্ষমতা শেষ হতে পারে এই আশঙ্কায় তেল উত্পাদনকারীরা এসব কাণ্ড করছেন। বিবিসির সংবাদ অনুযায়ী, ২০০০ সালের পর এত নিচে কখনো নামেনি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তেলের দর। সোমবার আমেরিকার ওয়েস্ট টেক্সাস বাজারে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে অর্থাৎ মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলারে নেমে যায়।
বিশ্ব বাজারে তেল বেচা-কেনার জটিল প্রক্রিয়ার কারণে তেলের মূল্যের এই অস্বাভাবিক দরপতন হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত একমাস পরের তেলের দাম বর্তমানে নির্ধারিত হয়।এর আগে মে মাসে বিক্রির জন্য তেল কেনা-বেচার যে চুক্তি হয়েছিল আজ (মঙ্গলবার) তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। অর্থাৎ, বিক্রেতারা মে মাসে অর্থাৎ এখন থেকে দুই সপ্তাহ পরে যে তেল বিক্রি করবেন তা যদি এখনই সংরক্ষণাগারে রাখতে চান তাহলে তাদেরকে তেল সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এই কারণে তারা তেলের দাম শূন্যের নীচে নামিয়ে দিয়ে তেল সংরক্ষনাগারের খরচ কমানোর চেষ্টা করেছেন।
অবশ্য ইউরোপের বাজারে তেলের দাম সোমবার শূন্যের উপরে ছিল। ওই বাজারে মাত্র ৯ শতাংশ কমে গিয়ে জুন মাসে হস্তান্তরের জন্য তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ২৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপের বাজারে নর্থ সি ব্রেন্ট তেলের দামকে সাধারণত আমেরিকা ছাড়া অবশিষ্ট বিশ্বের তেলের দামের মাণদণ্ড ধরা হয়।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে সারা বিশ্বে লকডাউনের ফলে চাহিদা কমে আসায় গত এক মাস ধরে তেল উত্তোলন কমানো নিয়ে বিতর্ক চলছে। গত ১৩ এপ্রিল নানা আলোচনার পর ওপেক প্লাস ও তেল উত্পাদক মিত্রদেশগুলো উৎপাদন কমানোর সমঝোতায় পৌঁছায়। দৈনিক প্রায় ১ কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলন কমানোর ব্যাপারে একমত হয় শীর্ষ তেল উত্তোলনকারী দেশগুলো। কিন্তু তারপরও তেলের দরপতন ঠেকানো সম্ভব হয়নি।
Equity markets in the Gulf retreat after oil futures plunged below zero for the first time in history https://t.co/JhbdlOBa9I
— Bloomberg (@business) April 21, 2020