ব্রিটিশদের জীবনের মূল্য কত?
করোনা ভাইরাস মহামারির মতো সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই নাকাল এই ভাইরাসের কাছে। বিশেষ করে ভাইরাসের বিস্তার রোধে তথা মানুষের জীবন রক্ষায় লকডাউনে অর্থনীতির ক্ষতি নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। লকডাউন তুলে দেওয়ারও দাবি উঠছে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে। বিশ্বজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। সরকারকে বিশেষ প্রণোদনা দিতে হচ্ছে। শত শত বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিতে হচ্ছে। তেমনি স্বাস্থ্য খাতেও শত শত কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। তাই মানুষের জীবনের মূল্য নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। দেশভেদে এতে ব্যাপক পার্থক্যও লক্ষ্য করা গেছে।
‘কোয়ালিটি অ্যাডজাস্টেড লাইফ ইয়ার’কে (কিউএএলওয়াই) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জীবনের মূল্য নির্ধারণে মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ব্রিটেনে এনআইসিই এই কাজটি করে থাকে। করোনা ভাইরাসের চিকিত্সায় কী পদ্ধতি এবং সরঞ্জাম ব্যবহূত হচ্ছে তার মূল্য নির্ধারণ করে জীবনের মূল্য হিসাব করা হচ্ছে। তবে একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করাটা সহজ কাজ নয় বলেও এনআইসিই জানায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আবার সতর্ক করেছেন, কেবল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সব সরঞ্জাম বা অর্থ ব্যয় করলে অন্য রোগীরা বিপদে পড়তে পারে। এতে অন্যান্য রোগ বেড়ে যেতে পারে।
লকডাউন তোলার দাবি উঠলেও শান্তিপূর্ণ মানুষেরা বলছেন, জীবনের জন্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মেনে নিতে হবে। ব্রিটেনে একজন মানুষের জীবনের মূল্য ২৪ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ কোটি ২৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৬ টাকা)। ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসের চিকিত্সা পর্যবেক্ষণে থাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কেয়ার অ্যান্ড হেলথ এক্সেলেন্স (এনআইসিই) এর গাইডলাইন অনুসারে একজন মানুষের এক বছরের জীবনের মূল্য ২০ হাজার পাউন্ড থেকে ৩০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ লাখ ২ হাজার ৮৭১ থেকে ৩১ লাখ ৫৪ হাজার ৩০৬ টাকা)। ব্রিটেনে মানুষের গড় আয়ু ৮১ বছর। সেই হিসেবে একজন মানুষের জীবনের মূল্য দাঁড়ায় ২৫ কোটি ২৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৬ টাকা। ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৩৫০ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।