জরুরী বরাদ্দের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মেয়রের চিঠি

করোনাভাইরাস: দুই মাসেই টাওয়ার হ্যামলেটসের ক্ষতি ৯ মিলিয়ন পাউন্ড

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ক্ষতি মোকাবেলায় কাউন্সিলগুলোকে আরো সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি অনুরুধ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লেখা এক বিশেষ চিঠিতে এই অনুরুধ জানিয়ে মেয়র বলেন, কনজারবেটিভ সরকারের টানা ১০ বছরের ব্যায় সংকোচননীতির কারনে কাউন্সিলগুলো চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারনে এই পরিস্থিতি আরো কঠিন করে তুলবে। বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস কাট, চাকুরীচ্যুতি ইত্যাদির কারনে অনেকের পক্ষেই স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবেনা।

চিঠিতে মেয়র বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে শুধু মাত্র মার্চ এবং এপ্রিল – এই দুই মাসেই টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে ৩.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। অন্যদিকে কাউন্সিল ট্যাক্স এবং বিজনেস রেট থেকে প্রাপ্ত আয় কমবে ৫.৪ মিলিয়ন পাউন্ড। অর্থাৎ দুই মাসেই কাউন্সিলের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৯ মিলিয়ন পাউন্ড।
আর আনুমানিক হিসাবে পূর্ন একবছরে (২০২০-২১) টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অতিরিক্ত খরচ করতে হবে ২৪.৪ মিলিয়ন পাউন্ড। এই সময়ে কাউন্সিলের আয় কমবে ৩৪.৬ মিলিয়ন পাউন্ড। অর্থাৎ কাউন্সিলের মোট ক্ষতির পরিমান গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৫৯ মিলিয়ন পাউন্ড।
উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালের পর টাওয়ার হ্যামলেটসকে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় করতে হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে সাশ্রয় করতে হবে আরো ৩৯ মিলিয়ন পাউন্ড। ইতিমধ্যে শ্যাডো সেক্রেটারী অব স্টেইট ফর কমিউনিটিস এন্ড লোকাল গর্ভনমেন্ট স্টিভ রিড এমপি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন কাউন্সিলগুলো আগামীতে চরম আর্থিক সংকটে পড়বে। সরকার তাদের জন্য যে অতিরিক্ত অর্থের ঘোষনা দিয়েছে একে আমি স্বাগত জানাই, কিন্তু তা তাদের ক্ষতির ধারে কাছেও নয়।
মেয়র জন বিগস বলেন, কাউন্সিলগুলো বর্তমানে এই ভাইরাস মোকাবেলায় উল্লেখযোগ পরিমানের অর্থ খরছ করছে এবং তা অবশ্যই যৌক্তিক এবং জরুরী। কিন্তু সরকারের উচিৎ কাউন্সিলগুলোকে এই ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া। তা না হলে আমাদের জন্য খারাপ সময় অপেক্ষা করছে।
কেবিনেট মেম্বার ফর রিসোর্সেস এন্ড ভলান্টিয়ার সেক্টর কাউন্সিলার ক্যান্ডিডা রোনাহ্ব বলেন, গত ১০ ধরে চলা টোরী সরকারের ব্যায় সংকোচনের কারনে আমরা এমনিতেই অতিরিক্ত চাপে আছি। এর মধ্যে করোনা ভাইরাসের ক্ষতির কারনে সরকার প্রয়োজনমতো বরাদ্দ না দিলে পরিস্থিতি আরো ভংয়কর হয়ে উঠবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button