প্রথম প্রান্তিকে ১৩% লোকসানে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিএর প্যারেন্ট কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন গ্রুপ (আইএজি)র পরিচালন লোকসান হয়েছে ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বা ৫৮ কোটি ডলার। নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে ১৩ শতাংশ লোকসান গুনেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানিটি। দ্বিতীয় প্রান্তিকে পরিস্থিতি আরো খারাপের আশঙ্কা করছে তারা।
আইএজি বলছে, বৈশ্বিক মহামারীতে অধিকাংশ উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড থাকায় বিএর এক-তৃতীয়াংশ কর্মীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিএর মোট কর্মী সংখ্যা ৪৫ হাজার।
কর্মীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিএর (ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ) প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রুজ লেখেন, গত কয়েক সপ্তাহে উড়োজাহাজ শিল্পের পূর্বাভাস মারাত্মক খারাপ হয়েছে এবং আমাদের এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিএর জন্য কোনো সরকারি বেইলআউট হচ্ছে না, তাই আমরা অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত কর্মীদের বেতন চালিয়ে যেতে পারছি না। তিনি আরো লেখেন, আমরা জানি না কখন দেশগুলো তাদের সীমান্ত খুলে দেবে বা কখন লকডাউন তুলে দেয়া হবে এবং আমাদের উড়োজাহাজ সংস্থা পুনরায় ঢেলে সাজাতে হবে এবং কর্মী, গ্রাহক ও গন্তব্যের নতুন নিশানা ঠিক করতে হবে।
আইএজির বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান কার্যক্রমে কভিড-১৯-এর প্রভাবে যাত্রীদের চাহিদা ২০১৯-এর মাত্রায় পৌঁছতে কয়েক বছর লাগবে। প্রস্তাবিত পুনর্গঠনমূলক কাজ এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয় নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোয় জানানো হয়েছে। এ কর্মসূচিতে বিএর সব কর্মীর ওপরই প্রভাব পড়বে এবং ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হতে পারেন।
উল্লেখ্য, নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ উড়োজাহাজই গ্রাউন্ডেড রয়েছে এবং যে ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তা খুব অল্প যাত্রী নিয়ে। এমনতর পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ (বিএ)।
বিএতে ৪ হাজার ৫০০ পাইলট কাজ করেন এবং এর কেবিন ক্রুর সংখ্যা ১৬ হাজার। ব্রিটিশ এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএলপিএ) সাধারণ সম্পাদক ব্রায়ান সাটন বলেন, এ সংবাদে বিএর পাইলট ও কর্মীরা একেবারে ভেঙে পড়েছেন।
তাদের যে সম্পদ রয়েছে, তাতে কভিড-১৯ ঝড়ে টিকে থাকতে সক্ষম জানিয়ে সরকারি সহায়তা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে বিএ। এ মুহূর্তে তাদের এ ছাঁটাইয়ের ঘোষণায় কর্মীদের পেছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাটন।