করোনায় মৃত্যুতে ইতালিকে ছাড়াল ব্রিটেন, চাপে বরিস জনসন
মার্চে লকডাউনের নির্দেশ দিতে অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের চেয়ে তিনি বেশ সময় নিয়েছেন
ইউরোপে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যায় ইতালিকে ছাড়িয়ে গেল ব্রিটেন। মঙ্গলবারে দেশটির সরকারি হিসাব বলছে, এই বৈশ্বিক মহামারীতে দেশটিতে ৩২ হাজার ৩১৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের হিসাবে, কোভিড-১৯ রোগে ইতালিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ৭৯ জন।
মৃত্যুর এই বিশাল মিছিলে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মহামারীর লাগাম ধরতে মার্চে লকডাউনের নির্দেশ দিতে অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের চেয়ে তিনি বেশ সময় নিয়েছেন।
ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের সাপ্তাহিক হিসাবে জানা গেছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় যোগ হয়ে আরও সাত হাজার। এতে করোনায় দেশটিতে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৩১৩ জন। মহামারীতে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশগুলোর একটি এখন ব্রিটেন। অথচ অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় সেখানে করোনা সংক্রমণ দেরিতেই ঘটেছে।
লকডাউন ঘোষণায় বিলম্বের দরুন বরিস জনসনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ইতালির হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী উপচে পড়ার দৃশ্য দেখার পরেও বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়নি ব্রিটেনের টরি সরকার। এছাড়া ব্যাপক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও যুক্তরাজ্য খুব ধীর গতিতে এগিয়েছে। চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহেও ঘাটতি ছিল সেখানে। করোনায় ব্রিটেনে সত্যিকার মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি এই হিসাবের চেয়েও আরও অনেক বেশি হবে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের।