সউদী এয়ারলাইন্সের আড়াই লাখ কর্মী চাকরি হারাচ্ছে
বিশ্বব্যাপী মরণঘাতী করোনায় উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে চাকরি হারাচ্ছে সউদী এয়ারলাইন্সের আড়াই লাখ কর্মী। করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে এই বিপুল কর্মী বাহিনীর প্রয়োজন দেখছে না সউদী এয়ারলাইন্স। বরং কর্মীসংখ্যা কমিয়ে পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সউদী অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সকে সতর্ক করে দ্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়শন (আইএটিএ) বলছে, সংস্থাটি কয়েক বিলিয়ন ডলারের লোকসান গুণতে যাচ্ছেন। এর কারণে বৃহৎ এই কোম্পানির প্রায় আড়াই লাখ কর্মী চাকরি হারাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমনিতেই লাখ লাখ যাত্রী হারিয়ে সউদী এয়ারলাইন্স বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খেসারত দিচ্ছে। এরপর আড়াই লাখ কর্মী ছাঁটাই হলে এয়ারলাইন্সটি খুব সহজে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না বলে মনে করছে দি ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট।
সউদী রাজপরিবারের সিদ্ধান্তে দেশটির জাতীয় এয়ারলাইন্সে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আইএটিএ ইতোমধ্যে সউদী সরকারকে এই সেক্টরে অর্থ দিয়ে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে। সেইসঙ্গে এই সেক্টর থেকে কর আদায় বন্ধ করতেও তারা আহ্বান জানিয়েছে।
ইউরোপ ও আমেরিকার এয়ারলাইন্সগুলোতে বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে ফের এয়ারলাইন্সগুলোকে বাজার ধরে রাখার যে কৌশল নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের এক বড় বাজার ধরে রাখতে সউদী এয়ারলাইন্স সে ধরনের কৌশল নিতে ব্যর্থ বলেই মনে হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক বড় এয়ারলাইন্স সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় এয়ারলাইন্স এতিহাদ এয়ারওয়েজ এই সপ্তাহের শুরুতে বিপুল সংখ্যক কর্মচারিকে অব্যাহত দিয়েছে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় কর্মীদের হ্রাস করার জন্যে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে গোটা বিশ্বেই এই খাত মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশগুলো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। বড় বড় এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো লোকসানের কারণে কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী সব আন্তর্জাতিক বিমান সেবাই বন্ধ আছে এখন। কবে শুরু হবে সে বিষয়ে সঠিকভাবে কেউ বলতে পারছে না।