ওবিআর এর পূর্বাভাস
চলতি সনে সরকারী ঋন গ্রহন ৩০০ বিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছতে পারে
ট্রেজারীর অফিশিয়েল পূর্বাভাস প্রদানকারীর (ওবিআর) অভিমত, করোনাভাইরাসের কারনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের দরুন ব্রিটিশ সরকারের বার্ষিক ঘাটতি ৩০০ বিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছতে পারে। অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটি (ওবিআর) গত মাসে এই মর্মে একটি হিসাব প্রদান করে যে, বর্তমান আর্থিক বছরে সরকারী ঋন গ্রহন ২৭৩ বিলিয়ন পাউন্ডে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। আর এসবই জবস্ ফারলো স্কীমের নজিরবিহীন সহায়তা পদক্ষেপসমূহের জন্যই হচ্ছে। গত মঙ্গলবার এই পরিসংখ্যান ২৯৯ বিলিয়ন পাউন্ডে উন্নীত হয়,যা যুদ্ধ পরবর্তী জিডিপি’র রেকর্ড ১৫.২ শতাংশের সমান।
গত মার্চের বাজেটে এবং লকডাউনের আগে ওবিআর ২০২০-২১ সনে ঠিক ৫৫ বিলিয়ন পাউন্ড ঋনের পূর্বধারনা পোষন করে আসছিলো। পূর্বাভাস প্রদানকারী এখন চলতি সনে সরকারী ঋনে জিডিপির ৯৫ শতাংশ লংঘনের বিষয়টি দেখতে পাচ্ছে।
গত মাসের তুলনায় মোট সরকারী ঋনের আকার বৃদ্ধির বিষয়টি মূলত: ঋষি সুনাকের এ সপ্তাহের শুরুতে গৃহীত ফারলো প্রোগ্রাম অর্থাৎ বেতনসহ ছুটিকালীন সহায়তা কর্মসূচি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের দ্বারা পরিচালিত। এটাকে অফিশিয়েলি করোনাভাইরাস জবস রিটেনশন স্কীম বলা হয় -যা জুনের শেষভাগ থেকে আরো ৪ মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই স্কীমের মোট ব্যয় এখন ওবিআর কর্তৃক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে রাখা হয়েছে, গত হিসাবের ৪৯ বিলিয়ন থেকে বৃ্দ্ধি করে।
ওবিআর এখন দেখছে, বিলটি বিলম্বিত কর পরিশোধের ১২৩ বিলিয়ন পাউন্ডসহ এই সংকটে সরকারের সিদ্ধান্তসমূহের সরাসরি প্রভাবের জন্যই, যা গত মাসের ১০৪ বিলিয়ন পাউন্ড থেকে বৃদ্ধি প্রাপ্ত। ব্যাপক সরকারী খাত ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় আর্থিক লেনদেনসমূহসহ ওবিআর এই আর্থিক বছরের জন্য মোট সরকারী খাতের নেট নগদ আবশ্যকীয়তাকে ৪২৩ বিলিয়ন ডলারে রেখেছে, যা এপ্রিলের ৩৮০ বিলিয়ন পাউন্ড থেকে এ পরিমানে উন্নীত।
ওবিআর বলেছে, জরুরী সহায়তামূলক পদক্ষেপসমূহ ব্যয়বহুল। তবে তারা এ বিষয়ে জোর দিয়েছে যে, এগুলো শেষ পর্যন্ত অর্থের ভালো মূল্যমানের প্রমান রাখতে পারে।
এটা জানায়, পদক্ষেপসমূহ এই অস্হায়ী আঘাতের সময়ব্যাপী অর্থনীতিকে সহায়তার লক্ষ্যে নির্দিষ্টভাবে পরিকল্পিত এবং তাই এগুলো দীর্ঘকাল ব্যাপী বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়ক হবে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে সংকটের ব্যয় সংক্রান্ত একটি অভ্যন্তরীন ট্রেজারী মূল্যায়নের বিস্তারিত বিবরন প্রকাশিত হয়। বেইজ কেস-এ ঘাটতি ৩৩৭ বিলিয়ন পাউন্ড যা ওবিআর-এর সর্বশেষ হিসাবের চেয়ে বেশী যখন ৫১৬ বিলিয়নে পৌঁছার বিষয়টি হবে সবচেয়ে শোচনীয় পর্যায়ের দৃশ্যপট। প্রতিবেদনে পেনশনের ‘ট্রিপল লক’ -এর অবসান এবং পাবলিক সেক্টর পে ফ্রিজিং পূর্বক আয়কর বৃদ্ধির কিছু সম্ভাব্য আর্থিক সংহতিকরন পদক্ষেপের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।