লালখান বাজার মাদ্রাসা বন্ধ, ছাত্রদের হল ত্যাগ

মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম ইসলামী মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরপরই আবাসিক ছাত্ররা মাদ্রাসা ছেড়ে চলে গেছেন। নগরীর খুলশী থানার এসআই গোলাম নেওয়াজ বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১টার সময় মামলা দুটি করেন।
বিস্ফোরক আইনের মামলায় (৮ নম্বর) মুফতি ইজহার, হারুন ইজহার, শিক্ষক মনির আহমেদ, আব্দুল মান্নান, মো. হোসেন, হোস্টেল সুপার তছকির আহমেদ, ছাত্র হাবিবুর রহমান রিংক, বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ছাত্র হাবিব, নুরুন্নবী ও সালমাসহ মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হাবিব সোমবার গভীর রাতে চমেক হাসাপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় (৯ নম্বর) মুফতি ইজহার ও মুফতি হারুনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত লোকজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) প্রকৌশলী বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘আসামিদের ধরতে ইতিমধ্যে আমরা সোমবার রাতে মাদরাসায় এবং নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, খুলশী থানার লালখান বাজারস্থ পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জমিয়তুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদরাসায় সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই চতুর্থ তলার মাদরাসাটির কিতাব রুমে আগুন ধরে যায়। এতে দরজা জানালার থাই গ্লাস ভেঙে যায়। পুড়ে যায় রুমের চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র। এ ঘটনায় ৯ ছাত্র আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের খবর দিলে তারা মাদরাসায় ছুটে যান।
ঘটনার পর মাদরাসার পরিচালক মুফতি হারুন ইজহার বলেন, ‘মাদরাসার একটি ছাত্রবাসে আইপিএস সংযোগ দেয়ার সময় মেশিন বিস্ফোরিত হয়েছে।’

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button