করোনায় গুরুত্বহীন হয়ে গেছে মানুষের ‘ব্যক্তিগত জীবন’
করোনার কারণে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন।‘প্রাইভেট লাইফ’ বা জীবনের ‘প্রাইভেসি’ ক্রমেই যেনো নিঃশেষ হতে চলেছে।আপনি কোনও বিমানবন্দরে পৌঁছালেই একটি কাপে থুথু ফেলতে হচ্ছে এবং আপনার ডিএনএ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। আরও কত কী।
দেখা যাচ্ছে, কোনও শহরের প্রতিটি ফোনের তথ্য চলে যাচ্ছে অন্য কোথাও। কেউ সীমান্ত অতিক্রম করলেই সেই তথ্য চলে যাচ্ছে সরকারের কাছে। করোনাভাইরাস পরবর্তী পৃথিবীতে এসবই যেনো হতে চলেছে স্বাভাবিক দৃশ্য। একসময় প্রাইভেসি ছিলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নাইন ইলেভেনের ঘটনার পর তাপ অনেকটাই হারিয়ে ফেলে সাধারণ মানুষ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সরকারগুলোর অবাধ তথ্য সংগ্রহের কারণে তা একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
ব্যক্তিস্বাতন্ত্রতা এবং স্বাধীনতার পক্ষে ক্যাম্পেইন চালানো ব্যক্তিরা বলছেন, বিশ্বের সকল সরকার করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির ফায়দা নিতে চাইবে। নাইন ইলেভেনের কারণে সূচনা হয়েছিলো দীর্ঘ সার্ভেইলান্স যুগের। করোনার কারণে তা চলে যাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে।
প্রায় সব দেশের সরকারই বিশেষ অ্যাপ ইন্সটল করতে বলেছে জনগনকে। উদ্দেশ্য হলো কেউ করোনা রোগীর কাছাকাছি গিয়েছেন কিনা তা জানা। এটি নিয়ে অনেক দেশেই তীব্র সমালোচনা চলছে। কারণ, এতে নাগরিকের প্রতিটি পদক্ষেপ জানতে পারবে সরকার। আর হারিয়ে যাবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বলতে যা বুঝায়, তার সবকিছূ।