ব্রিটেন আশির দশকের মতো বেকারত্বে প্রত্যাবর্তনের ঝুঁকিতে
যুক্তরাজ্য বিগত আশির দশকের পর্যায়ের বেকারত্বে ফিরে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। অ্যান্ডি হ্যালডেইন বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির দরুন যে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক চাকুরী হারাবে, ব্রিটেনের পুনরায় তাদেরকে আত্তীকরনের একটি পন্হা খুঁজে বের করার প্রয়োজন হবে। এ অবস্হায় দেশকে কয়েক দশক আগের উচ্চ বেকারত্বের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, এই যুক্তিটি আমি অর্থনীতি থেকে পাচ্ছি এবং এটা পাচ্ছি সরকারের নীতিতে, আশির দশকের প্রারম্ভের ভীতিকর অভিজ্ঞতার কারণে, যা প্রায় ৪০ লাখে গিয়ে পৌঁছেছিলো। আসলে আমরা সেদিকেই ফিরে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, এসব ভীতি ব্যাপক ভিত্তিকভাবে ওয়ার্ক ফোর্স অর্থাৎ দেশের কর্মজীবি মানুষের ওপর হতে পারে তাদের অর্ধেকের ওপর কালো ছায়া ফেলতে যাচ্ছে। এ মাসের প্রথম দিকে ব্যাংক এই বলে সতর্ক করে দেয় যে, বেকারত্বের হার বসন্তের শেষে ৯ শতাংশের দ্বিগুনের চেয়ে বেশী হতে পারে, যা ১৯৯৪ সালের পর সর্বোচ্চ। করোনাভাইরাস আগামী ৩০ বছরেরও বেশী কাল ব্যাপী গভীর মন্দার কারন হয়ে থাকতে পারে।
হ্যালডেইন বলেন, ড্রেড রিস্ক অর্থাৎ মারাত্মক ঝুঁকির কারনে চাকুরীর জন্য দৃষ্টিভঙ্গী আরো খারাপ হতে পারে, যেক্ষেত্রে গৃহস্হলীসমূহ ও কোম্পানীগুলোর মধ্যে একটি আত্মপূরনের প্রত্যাশার কারনে কর্মহীনতা উর্ধমুখী। এতে অর্থনীতির আরেক ধাপ পতন হতে পারে। তিনি বর্তমান পরিসংখ্যানের দিকে ইংগিত করে বলেন, সরকারের মজুরী ভর্তুকি স্কীমের আওতায় ৭০ লাখেরও বেশী শ্রমিক ফারলোড্ অর্থাৎ সবেতন ছুটিতে রয়েছে। ২০ লাখ শ্রমিক-কর্মী নতুনভাবে বেকার হয়ে পড়েছে এবং প্রায় ১৩ লাখ আগেই কর্মহীন ছিলো, এর পাশাপাশি আরো লাখ লাখ লোক কম সময় কাজ করছে।
তিনি বলেন, এভাবে সব মিলিয়ে এক তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেক পর্যন্ত কর্মজীবি মানুষ হয় বেকার, কম সময়ের জন্য চাকুরীতে নিয়োজিত বা কম সময় কাজ করছে এবং এদের অনেকেই ভবিষ্যত আয় ও তাদের চাকুরীর ব্যাপারে ভীতির মধ্যে রয়েছে। তিনি রেকর্ড পরিমান সর্বনিম্ন ০.১ শতাংশ সুদসহ ব্যাংক কর্তৃক কড়া ধরনের পদক্ষেপ এবং সরকারের পদক্ষেপসমূহের লেভেলিং আপ এজেন্ডার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।