ব্রিটেনে মর্টগেজ পরিশোধের মেয়াদ আরো ৩ মাস বর্ধিত
যে সব ঋনগ্রহীতা (বাড়ির মালিকরা) ৩ মাসের বন্ধক (মর্টগেজ) পরিশোধের বিরতি নিয়েছেন, তারা আরো তিন মাসের বিরতি নিতে কিংবা হ্রাসকৃতভাবে পরিশোধে শুরু করতে পারবেন। ইতোমধ্যে ৩ মাসের বন্ধক পরিশোধ বিরতি লভ্য হয়েছে ঐসব ঋণগ্রহীতার জন্য, যারা করোনাভাইরাসের দরুন আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি, কিন্তু ফিনান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটি (এফসিএ) এখন এই মর্মে প্রস্তাব দিয়েছে যে, যে সব গ্রাহক এখনো এ ধরনের বিরতির জন্য বলেননি, তারা এজন্য ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। পরিকল্পনাসমূহের অধীনে পুনঃপ্রক্রিয়াকরন হচ্ছে এমন বাড়িঘরগুলোর ওপর আরোপিত বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞাও ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
ঐসব লোকজন, যারা করোনাভাইরাসের দরুন সাময়িক পরিশোধ সংকটে আছেন, প্রতিষ্ঠানসমূহের উচিত তাদের অব্যাহতভাবে সহায়তা প্রদান করা যাতে পরিশোধের জন্য আরো ৩ মাসের একটি বিরতি অথবা প্রস্তাবের অধীনে হ্রাসকৃত পরিশোধ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
১৮ লাখেরও বেশী বন্ধক পরিশোধে বিরতি গ্রহন করা হয়েছে এবং এর প্রথমগুলো জুনে শেষ হওয়ার কথা। ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম এজে বেল -এর পারসোনাল ফিনান্স এনালিস্ট লোরা সুটার বলেন, বন্ধক পরিশোধে ৩ মাস বিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি ঐ সব গৃহস্হালীর জন্য স্বস্তি নিয়ে আসবে, বর্তমান সংকটের দরুন যাদের উপার্জন হ্রাস পেয়েছে এবং চাকুরীর ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তিনি আরো বলেন, দেশে গড় বন্ধকের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ব্যাংকসমূহ ইতোমধ্যে লোকজনের অতিরিক্ত ৮০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশী সুদের একটি বিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যবস্হা করছে এবং এটা এখন মেয়াদ বৃদ্ধির সাথে বাড়বে।
তিনি বলেন, যখন অর্থ পরিশোধে বিরতি কিছু লোকের জন্য প্রানদায়ী, তখন তাদের উচিত মাসিক পরিশোধ হ্রাসের জন্য তাদের শর্ত বৃদ্ধিসহ প্রথমে সকল পন্হা গবেষণা করা এবং এটা লক্ষ্য করা যে, তারা একটি মেয়াদের জন্য একটি স্বল্প রেটে কিংবা কেবল মাত্র সুদে পরিবর্তিত হতে পারেন কি-না। এফসিএ ২৬ মে পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া আহবান করেছে এবং এর কিছুকাল পর দিকনির্দেশনাসমূহ চূড়ান্ত করার প্রত্যাশা করছে, যা শুধুমাত্র বন্ধকসমূহে প্রযোজ্য এবং অন্য ক্রেডিট প্রোডাক্টসমূহের ক্ষেত্রে নয়।
এফসিএ’র অন্তবর্তীকালীন চীফ এক্সিকিউটিভ ক্রিস্টোফার উলার্ড বলেন, আমাদের প্রত্যাশা স্পষ্ট —যে কেউ, যার অব্যাহতভাবে প্রয়োজন আছে, তাদের ঋনদাতার নিকট থেকে সহায়তা নিতে পারবেন। আমাদের প্রত্যাশা, প্রতিষ্ঠানসমূহ গ্রাহকদের সাথে তাদের সর্বোত্তম লভ্য উপায়ে কাজ করবে, তাদের অরক্ষিত গ্রাহকদের প্রয়োজনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেবে। যেসব লোক সংগ্রাম করছে এবং যারা পরিশোধের জন্য বিরতির সুবিধা পায়নি, তারা যেনো ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদনে সক্ষম হতে পারে।
সাধারণত: একটি পরিশোধ বিরতিকালে বন্ধকের সুদ বাড়তে থাকে, যদি না ঋনদাতা অন্যরূপ সিদ্ধান্ত নেন। এবং তখনো ঋনগ্রহীতা অপরিশোধিত ঋনের জন্য ঋনী থেকে যান। কিন্তু এক্ষেত্রে একজন ঋণগ্রহীতার মাসিক পরিশোধ অর্থ বিরতির মেয়াদ শেষে আগের মতোই থেকে যাবে।
ট্রেজারির ইকোনোমিক সেক্রেটারি জন গ্লেন বলেন, প্রত্যেকের পরিস্হিতি বিভিন্ন ধরনের হবে, তাই যখন বাড়ির মালিকেরা তাদের বন্ধকী অর্থের কিছু কিংবা পুরোটা পরিশোধ করতে পারবেন, তখন তাদের উচিত একটি পরিকল্পনার ওপর তাদের ঋনদাতার সাথে কাজ করা। তবে যদি তারা তখনো সংকটে থাকেন, তবে আমি চাইবো তারা জানুক যে এখানে সহায়তা পাবে।