বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের হ্যাম্পশায়ারে মৃত্যু
পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ কে? এটা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকডর্সের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হলেন যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পশায়ারের অল্টনের প্রাক্তন শিক্ষক ও প্রকৌশলী বব ওয়েইটন (১১২ বছর ৫৯ দিন)। তিনি আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার তিনি ঘুমের মধ্যে মারা যান। ববের মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার পরিবার একটি বিবৃতিতে বলেছে: “অত্যন্ত দুঃখের সাথে ওয়েইটনের পরিবার আমাদের প্রিয় বব ওয়েইনের মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছে।’’
পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ জাপানের চিতেসু ওয়াতানাবে (১১২ বছর ২৬৬ দিন) মারা যাওয়ার পর ফেব্রম্নয়ারিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হয়ে যান ১১২ বছর বয়সী বব। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রেদি ব্লোম দাবি করেছিলেন, তিনি ১১৬তম জন্মদিন পালন করেছেন। কিন্তু তার বয়সের বিষয়টি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ এখনো ‘ভেরিফাই’ (সত্যায়িত) করতে পারেনি।
“বব একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন এবং তাঁর পরিবারের কাছে [ঠিক] সত্যই নয় কারণ তিনি যে আশ্চর্যজনক বয়সে পৌঁছেছিলেন। তিনি আমাদের জীবনধারণের আদর্শ, তিনি তাঁর জীবনকে আগ্রহী করে বিশ্বজুড়ে সমস্ত ধরণের লোকের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি সকলকেই তার ভাই বা বোন হিসাবে দেখতেন এবং একে অপরকে ভালবাসা, গ্রহণ এবং গ্রহণ করার বিষয়ে বিশ্বাসী ছিলেন।”
“মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর অনেক বন্ধুত্ব ছিল এবং রাজনীতি, ধর্মতত্ত্ব, বাস্তুশাস্ত্র এবং আরও অনেক কিছু পড়তে এবং কথাবার্তা হয়েছিল। তিনি পরিবেশের জন্যও অনেক যত্ন করেছিলেন। তার ফ্ল্যাটের দ্বিতীয় শয়নকক্ষটি ছিল একটি ওয়ার্কশপ, এতে আসবাব, উইন্ডমিলস এবং ধাঁধা দিয়ে ভরা দান তিনি দাতব্য সহায়তায় ব্যয় করেছিলেন।
বব নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে ১৯০৮ সালের ২৯ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সপ্তম। কর্মজীবনে তিনি একজন প্রকৌশলী ছিলেন। তাইওয়ান, জাপান ও কানাডায়ও কাজ করেছেন। তিন সন্তানের পিতা বব ১০ নাতি এবং ২৫ নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।