ব্রিটেনে বাড়ির মূল্যে বড় দরপতন
আর্থিক সংকট শুরুর পর থেকে মাসিক দরপতন তীব্র
যুক্তরাজ্যে একটি বাড়ির গড় মূল্য মে মাসে ১.৭ শতাংশ অর্থাৎ ৪০০০ পাউন্ডের চেয়েও বেশী মূল্য হ্রাস পায়। ঋণপ্রদানকারী সংস্থা ‘ন্যশনওয়াইড’-এর এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এটা ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে সবচেয়ে বড়ো মাসিক দরপতন, যখন মার্কেট ওয়ালস্ট্রিট ব্যাংক লেহম্যান ব্রাদার্স-এর বিপর্যয়ের ঘূর্ণাবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। বার্ষিক ৩.৭ শতাংশ থেকে ১.৮ শতাংশে দরপতন বৃদ্ধি ডিসেম্বরের নির্বাচনকালীন সময় থেকে প্রোপার্টি মার্কেটের পুনরুজ্জীবনকে থমকে দিয়েছে।
পূর্ণ লকডাউন থেকে শুরু হওয়া এই দরপতন মাস জুড়ে চলে, যখন খুব সামান্য বেচা-বিক্রি হয়েছে। তা সত্বেও সরকার ১৩মে প্রোপার্টি মার্কেট পুনরায় খুলে দেয়ার পর থেকে মার্কেটের কর্মকান্ডে একটি উত্থানের খবর দিয়েছেন এজেন্টগন। এজেন্সী এন্ড্রুজ প্রোপার্টি গ্রুপ-এর প্রধান নির্বাহী ডেভিড ওয়েস্টগেইট বলেন, দুই অর্ধেকের চূড়ান্ত মাস ছিলো মে। প্রথম অর্ধেকে মোটেই কোন কাজকর্ম হয়নি এবং দ্বিতীয় অর্ধেকে লেনদেন পুনরায় শুরুর প্রেক্ষিতে কাযকর্মে তোড়জোড় লক্ষ্য করা যায়।
তিনি বলেন, প্রোপার্টি মার্কেট অর্থাৎ সম্পত্তির বাজার চূড়ান্তভাবে আবার চালু হওয়ার জন্য ২০২১ সাল পর্যন্ত অপক্ষো করতে হবে। তবে এখন যা চলছে, তা হচ্ছে, লকডাউন পরবর্তী লেনদেনের ক্ষেত্রে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এমটি ফাইন্যান্স-এর পরিচালক টোমার এবুডি বলেন, ব্যাংকগুলো ঋণদিতে আগ্রহী। যখন তারল্য অত্যন্ত বেশী। সুদের হার সর্বকালের মধ্যে সবচেয়ে নিম্ন এবং এজেন্টরা আবেদনকারীদের নিবন্ধনে একটি ইতিবাচক উর্ধমুখী গতির সংবাদ দিচ্ছেন।
’চেস্টারটনস্’ এজেন্সীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাই গিট্টিন বলেন, এক মাসে ১.৭ শতাংশ দরপতন নাটকীয় বিষয়, তবে ততোটা তীব্র নয় এজন্য যে, অনেকের প্রত্যাশা, প্রোপার্টির মূল্য এখনো গত বছরের এসময়ের চেয়ে প্রায় ২ শতাংশ বেশী আছে।