করোনা-মুক্ত হলেন প্রিন্স চার্লস
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও প্রিন্স, দু’জনেই করোনা-আক্রান্ত হয়েছিলেন, আবার সুস্থও হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে ওঠার পরে ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস বললেন, ‘আমার সৌভাগ্য, বেশি ভুগতে হয়নি। কিন্তু অসুখটাতো হয়েছিল। জানি বাকিরা কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।’ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চিকিৎসক-নার্সদের অজস্র ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, ‘এ যাত্রায় ওদের জন্যই বাঁচলাম।’
মার্চ মাসের শেষের দিকে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে ৭১ বছর বয়সি চার্লসের। তার পর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্কটল্যান্ড এস্টেটের বার্কহলের প্রাসাদে নিভৃতবাসে চলে যান তিনি। বৃহস্পতিবার জানালেন, ওই একা থাকার সময়েই তিনি আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছেন— এই পৃথিবীকে নতুন করে গড়তে হবে। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের একটি অনলাইন বৈঠকে এদিন যোগ দেন যুবরাজ। তাতে জানান, ভবিষ্যৎ-বিপর্যয় এড়াতে ‘গ্রেট রিসেট’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করতে চলেছে রাজপরিবার।
এক এক করে সেরে ওঠার চেষ্টায় সব দেশই। নিউজিল্যান্ডে এখন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১। সেখানে ১৫০৪ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন। ১৪৮১ জনই সুস্থ হয়েছেন। গত ১৩ দিনে কোনও নতুন সংক্রমণের খবর নেই। সুস্থ হয়ে ওঠা চীনের এক শহরে আবার গণপরীক্ষা শুরু হয়েছে। আচমকাই এক জন করোনা-পজিটিভ ধরা পড়েছে সেখানে। কৃষ্ণাঙ্গ-মৃত্যুতে বিক্ষোভ চলছে আমেরিকায়। এরই মধ্যে এসেছে নতুন করে ২০৮৫ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর। সংক্রমণের নিরিখে ব্রাজিল এখন দ্বিতীয়। গোটা পৃথিবীতে সংক্রমণ পেরিয়ে গিয়েছে ৬৬ লাখ। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪ লাখ।