তুরস্কের সাথে ‘আকাশ-সংযোগ’ চুক্তি করছে ব্রিটেন
ব্রিটিশ পর্যটকদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন লাগবেনা তুরস্কে
গত বছর ২৫ লাখের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক ছুটি কাটাতে তুরস্কে গিয়েছিলেন
আগামী ১৫ জুলাই থেকে ব্রিটিশ পর্যটকদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে তুরস্ক। এই লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে একটি ‘আকাশ-সংযোগ’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে। এর ফলে, তুরস্কে ব্রিটিশ পর্যটকদের আর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। ‘আকাশ-সংযোগ’ চুক্তির মাধ্যমে কোয়ারেন্টিন ছাড়াই এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণের সুযোগ পান সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকরা। যুক্তরাজ্য আরও কয়েকটি দেশের সাথে এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। এর ফলে মহামারীর মধ্যে আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে খাদের কিনারে চলে যাওয়া ভ্রমণ খাত আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চুক্তিতে সম্মত হওয়া দেশগুলোর সাথে ভ্রমণ করিডোর স্থাপতি হবে, তার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে আসা কিংবা সেখান থেকে যাওয়া পর্যটক ও ব্রিটিশ নাগরিকরা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন থেকে রক্ষা পাবেন। এই নীতি আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে।
তুরস্কের পরিবহনমন্ত্রী আদিল কারা ইসমাইলগ্লু জানিয়েছেন, জুনের মধ্যে প্রায় ৪০টি দেশের সাথে পুনরায় বিমান চলাচল শুরু করার পরিকল্পনা করছে তুরস্ক। তিনি বলেন, তুরস্ক ১৫টি দেশের সাথে পারস্পরিক বিমান ভ্রমণের প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে। তুরস্কের একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাজ্যের সাথে একটি চুক্তি অনুমোদনের মুখে রয়েছে এবং দু’দেশের মধ্যে পুনরায় যাত্রা শুরু করার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৫ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি করোনভাইরাসের সর্বশেষ সংক্রমণের হারের ভিত্তিতে হবে। দু’পক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে, যুক্তরাজ্য আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ।’
এই খবরটি পর্যটন শিল্পের জন্য বড় স্বস্তি। গত বছর ২৫ লাখের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক ছুটি কাটাতে তুরস্কে গিয়েছিলেন। যুক্তরাজ্য সরকার এর আগে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিল যে, তারা যাত্রীদের জন্য কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অপসারণের জন্য দেশগুলোর সাথে ‘আকাশ-সংযোগ’ ব্যবস্থায় যেতে চেষ্টা করছে। ইজিজেট, ভার্জিন আটলান্টিক এবং ব্রিটিশ এয়ারওয়েজসহ বড় বড় বিমান সংস্থাগুলোর সাথে সম্মতি অনুসারে ব্রিটিশ সরকার ভ্রমণকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য ৪৫টি দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে। তালিকায় তুরস্ক, স্পেন, গ্রীস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ শীর্ষ পর্যটন স্থানগুলো রয়েছে।
আঙ্কারা ইতোমধ্যে ইতালি, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলবেনিয়া, বেলারুশ, জর্ডান এবং মরক্কোসহ ১৫টি দেশের সাথে পারস্পরিক বিমান পুনরায় চালু করার প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে জার্মানি বলেছিল, তারা ভ্রমণ বিধিনিষেধ পর্যালোচনা করার বিষয়ে তুরস্কের সাথে আলোচনায় যেতে আগ্রহী। তবে এর জন্য তারা ইইউয়ের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে।