যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা
রাজনৈতিক সহিংসতার আশংকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, বেলজিয়ামসহ বেশকিছু দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ওপর সতর্কতা জারি করেছে। সম্ভব হলে বাংলাদেশে এ মুহূর্তে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের খবর জেনে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বাংলাদেশ ভ্রমণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ওপর সতর্কতা জারি করায় বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসায় অশনি সংকেত দেখছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। এজেন্সি মালিকরা বলছেন, রাজনৈতিক সহিংসতা ও এ সতর্কতার কারণে ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হবে। বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে এ নেতিবাচক ধারণার কারণে শীতকালীন পর্যটন মৌসুমে বিদেশী পর্যটকরা বাংলাদেশে কম আসবেন। তবে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে দেশের সুনাম অর্জনে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশের ভাবমূর্তি বিদেশে ক্ষুন্ন হয়েছে। এ কারণে আগামী ভরা মৌসুমে বিদেশী পর্যকটরা বাংলাদেশে আসতে ভয় পাবেন। এ পরিস্থিতি নিরসনে দূতাবাসগুলোকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে বাংলাদেশের পর্যটন খাত ধ্বংস হয়ে যাবে।
বাংলাদেশে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, বেলজিয়ামসহ অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসব দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। রাজনৈতিক ও অন্যান্য সহিসংতার ক্ষেত্রে এ ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়ে থাকে। তবে আগামী নির্বাচনের আগে ভয়াবহ রাজনৈতিক সহিংসতার ব্যাপারে কূটনীতিক আশংকা নতুন নয়। তারা সরকার ও বিরোধী দলকে বারবার এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য না হওয়ায় বিদেশীদের এ ধরনের আশংকা অমূলক নয় বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক মহল। এ ব্যাপারে ঐকমত্য না হওয়া অর্থাৎ সংঘাতের আশংকা থাকা পর্যন্ত বিদেশী পর্যটক কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।