ব্রিটেনে ক্রীতদাস ব্যবসায়ীর মূর্তি নদীতে ফেলা হলো
যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিশ্বের অনেক দেশেই চলছে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। নানা জায়গায় বিতর্কিত মূর্তি ভেঙেছেন বিক্ষোভকারীরা। এবার ভাংলেন ব্রিটেনে। গত সপ্তাহান্তের মতো এই সপ্তাহান্তেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হয়েছে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের রিচমন্ডে ১৮৯১ সালে স্থাপন করা জেনারেল উইলিয়াম কার্টারের মূর্তি, মিশিগানের সাবেক বর্ণবাদী মেয়র অরভিল হুবার্টের মূর্তিসহ বেশ কিছু বিতর্কিত ব্যক্তির মূর্তি বিক্ষোভকারীরা ভেঙে ফেলে।
গত রোববার ব্রিটেনের ব্রিস্টল শহরে এডওয়ার্ড কলস্টনের মূর্তিটিও দড়ি দিয়ে টেনে ফেলে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। নদীতে ফেলার আগে ক্রীতদাস ব্যবসায়ী থেকে বিশ্ব পরিব্রাজক হয়ে ওঠা কলস্টনের মূর্তির মুখে লাল রং লেপে দেন বিক্ষোভকারীরা।
১৬৮০ সালে রয়্যাল আফ্রিকান কোম্পানিতে যোগ দেন কলস্টন। তারপর দীর্ঘদিন ক্রীতদাস ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বছরে অন্তত পাঁচ হাজার কৃষ্ণাঙ্গকে আফ্রিকা থেকে কিনে বিক্রি করতো রয়্যাল আফ্রিকান কোম্পানি।
ক্রীতদাস কেনাবেচায় সরাসরি জড়িত কলস্টনের মূর্তি নদীতে ফেলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন অনেকে। লেবার পার্টির সাংসদ ক্লাইভ লুইসসহ অনেক ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ বিতর্কিত এই মূর্তি অপসারণকে সমর্থন জানিয়েছেন।
তবে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ এবং পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ বন্ধের দাবি থেকে আন্দোলন যে অন্যদিকে সরে যাচ্ছে, এ ঘটনা তারই প্রমাণ। -ডয়চে ভেলে