বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লাখ ১৯ হাজার ছাড়াল
যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃত্যু ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯’এ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। মৃত্যুর মিছিলে এরইমধ্যে যোগ দিয়েছেন ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫১৮ জন। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার এ তথ্য জানিয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৮ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৩২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৫৪ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৫৩ হাজার ৮১১ জনের (২ শতাংশ) অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪০১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৬৩৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ১৪১ জন। আক্রান্তের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৪ জন আক্রান্ত। আর মারা গেছেন ৩৯ হাজার ৮৯৭ জন।
এদিকে কিছুদিন আগেও আক্রান্তের দিক থেকে সবার শীর্ষে থাকা দেশ চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। চীনের মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৪৬, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের।
অন্যদিকে, আক্রান্তের দিক থেকে ৬ নম্বরে অবস্থান করছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৬ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৭৫০ জনের। বাংলাদেশে মারা গেছেন ১ হাজার ১২জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৬৫ জন।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে ২ লাখ ৯০ হাজার ১৪৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। যা ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। মারা গেছেন ৪১ হাজার ১২৮ জন। বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাজ্যের অবস্থান এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর উপরে রয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র।
তবে তিনটি অঞ্চলের পরিসংখ্যান ব্যুরোগুলোরে দেওয়া এই হিসাবের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া হিসাবের তফাত রয়েছে। করোনায় মৃতের সংখ্যায় বিশাল এই অমিলের কারণ ভিন্ন ভিন্ন গণনা পদ্ধতি। মূলত সমস্যাটা হচ্ছে, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মৃতের তালিকায় তাদের নামই অন্তর্ভূক্ত করছে যারা শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন। কিন্ত অনেকে মারা যাওয়ার পর তাদের দেহে যে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত যাচ্ছে তারা এই তালিকায় নেই।