ব্রেক্সিট নিয়ে কঠোর অবস্থানে ইউরোপ
নীতিগত ঐকমত্য সম্ভব না হলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে ব্রিটেন
শীর্ষ স্তরে দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে জট ছাড়ানোর জন্য চাপ বাড়ছে
আর মাত্র কয়েক দিন। এর মধ্যে নীতিগতভাবে ঐকমত্য সম্ভব না হলে আগামী বছরের শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে ব্রিটেন। বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বোঝাপড়া ছাড়াই ব্রেক্সিট পুরোপুরি কার্যকর হবে। শুক্রবার ইইউ পার্লামেন্ট সম্ভবত এক প্রস্তাব অনুমোদন করে ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার বিষয়ে অবস্থান বদলানোর ডাক দিতে চলেছে। শীর্ষ স্তরে দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে জট ছাড়ানোর জন্য চাপ বাড়ছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট আগামী শুক্রবার ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে জরুরি ভিত্তিতে অবস্থান বদলানোর ডাক দিতে চলেছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি সেই প্রস্তাবের খসড়া হাতে পেয়ে কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরেছে। খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে জলঘোলা করার আগে ইইউ ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে সবার আগে একটি মৌলিক বিষয় মেনে নেবার আহ্বান জানাচ্ছে। দুই পক্ষই চুক্তির শর্ত মেনে চলছে কি না, তা যাচাই করতে একটিমাত্র সার্বিক কাঠামো রাখতে চায় ইইউ। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক বিধিনিয়মের ক্ষেত্রে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ন্যায্য পরিবেশের উপরেও জোর দিচ্ছে ইইউ। ব্রিটেন এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছে না বলে ইইউ পার্লামেন্ট অভিযোগ তুলেছে।
উল্লেখ্য, শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি সম্ভব হলেও ইইউ পার্লামেন্টের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে। ঐকমত্য সম্ভব হলে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত আলোচনার সুযোগ রয়েছে। এখনো পর্যন্ত আলোচনায় কোনো অগ্রগতি ঘটে নি। এই অবস্থায় হয় জুন মাসের শেষ পর্যন্ত ঐকমত্যে আসতে হবে, অথবা ব্রেক্সিট-পরবর্তী অন্তর্র্বতীকালীন ব্যবস্থার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়াতে হবে। বরিস জনসনের সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো পথই বেছে নেয় নি। ব্রিটেন ও ইইউ মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় চলতি মাসেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লিয়েন এক ভিডিও কনফারেন্সে জট ছাড়ানোর চেষ্টা করতে চলেছেন। ব্রিটেন ভবিষ্যতে যে কোনো বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে ইইউ আইন মেনে চলতে নারাজ। তার বদলে ‘স্বেচ্ছায়’ পরিবেশ ও শ্রমের মতো ইইউ-র কিছু বিধিনিয়ম মেনে বিয়ে ‘সহজ’ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি চায় সে দেশ। জনসন ও ফন ডেয়ার লিয়েনের আলোচনার পর দুই দেশের মধ্যস্থতাকারীরা আবার আলোচনায় বসার কথা।