লন্ডনে ‘ব্ল্যাক লাইভস্ ম্যাটার’ বিক্ষোভে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লন্ডন নগরীতে অনুষ্ঠিত ‘ব্ল্যাক লাইভস্ ম্যাটার’ (অর্থাৎ যেখানে কৃষ্ণাঙ্গের জীবনের বিষয়) শীর্ষক প্রতিবাদ বিক্ষোভকালে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ‘গুন্ডা ও অপরাধীদে’র প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, লন্ডনে বিক্ষোভকালে ৩৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তিনি এক্ষেত্রে দায়ী ব্যাক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং জানান যে, সহিংসতার সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে ঐদিন সকালে ১৩৫ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
মিসেস প্যাটেল বলেন, রাজধানীতে বিক্ষোভকালে কমপক্ষে ৩৫ জন অফিসার আহত হন। আমি সাহসিকতার জন্য তাদের অভিবাদন জানাচ্ছি এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। দায়ী গুন্ডা ও অপরাধীদের ইতোমধ্যে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এটা একটি নাজুক পরিস্হিতি, তবে এই ভোরে গ্রেফতারকৃতদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৫-এ। অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, কিছু প্রতিবাদকারী সপ্তাহান্তে সহিংস আচরনে জড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের মাস্তানী অত্যন্ত নিন্দনীয়, এর কোন যৌক্তিকতা নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অপরাধী সংখ্যালঘুদের আচরণ লজ্জাজনক আখ্যায়িত করে এই বলে প্রতিশ্রুতি দেন যে, তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
তিনি বলেন, শান্তশিষ্ট আইনমান্যকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ, যারা এই সহিংসতায় বিপন্ন এবং নিয়মের মধ্যে বসবাস করছেন আমি তাদের কথা শুনছি । প্রীতি প্যাটেল ভবিষ্যত ‘ব্ল্যাক লাইভস্ ম্যাটার’ বিক্ষোভে যোগ না দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের বাসিন্দাদের প্রতি আহবান জানান, যাকে তিনি করোনা মহামারিকালে মারাত্মক জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, যে সব পুলিশ এই মারাত্মক নিপীড়নের শিকার, তাদের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে, যেহেতু তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে যথাযথভাবে শোভনীয় ও সাহসিকতার সাথে কাজ করেছে। তিনি বলেন, সম্মিলিতভাবে শান্তিপূর্ণ পন্থায় অভিমত ব্যক্ত করার অধিকার আমাদের গণতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই হাউস স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তা হতে হবে আইনের শাসনের ভিত্তিতে। যখন আমাদের জাতি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন পরিস্হিতি স্বাভাবিক নয়।তাই আমাদের সবাইকে রক্ষায় ও এই ভয়ানক রোগের বিস্তার প্রতিরোধে যে কোন বড়ো সমাবেশ বেআইনী।
তিনি বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, আমরা এখন জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন জাতীয় জরুরী অবস্থায় রয়েছি। তাই এই মারাত্মক গণস্বাস্থ্য ঝুঁকি আমাকে ভবিষ্যত বিক্ষোভসমূহে যোগ না দেয়ার ব্যাপারে জনগণের প্রতি আহবান জানাতে বাধ্য করেছে। বড়ো ধরনের বিক্ষোভ-সমাবেশ বেআইনী এবং তা জনগণকে ব্যাপক ঝুঁকির মুখে ফেলবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।