সিলেটে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে
বাংলাদেশে একদিনে ৪৬ জনের মৃত্যুর রেকর্ড, আক্রান্ত ৮১ হাজার ছাড়াল
সিলেটে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। জেলায় একদিনেই ১৭৫ জন পজিটিভ হওয়ার পর শনাক্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতির জন্য লকডাউন তুলে ঈদের কেনা কাটায় ভিড় জমানোকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর জেলা প্রশাসক বলছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাসহ সতর্ক করেও লাভ হচ্ছে না।
এদিকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হিসেবে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন হাজার ৪৭১ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে মোট ১ হাজার ৫২৩ জনের মধ্যে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরো ৪৬ জনের। ফলে এ ভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল এক হাজার ৯৫ জনে। আজ শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ৫ এপ্রিল সিলেটে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। এরপর প্রথম পাঁচশ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫৬ দিনে। আর আক্রান্তের সংখ্যা জুনে হাজার ছাড়িয়েছে।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, প্রথম মাস থেকে দ্বিতীয় মাসে চারগুণ হয়েছে। আর দ্বিতীয় মাসে ৪ হাজার ৪৩ ছিলো। এই মাসে এটা কমপক্ষে ৯ থেকে ১০ হাজার হবে।
এমন পরিস্থিতির জন্য ঈদের আগে বাজার উন্মুক্ত করে দেয়াকে দায়ী করছেন সিলেটের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও কোভিড ১৯ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ডা. মুজিবুল হক।
তিনি বলেন, এখানে কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানে না। একই সঙ্গে মার্কেটগুলোতে সীমিত পরিসরে না, মার্কেটগুলোতে বড় ধরনের ভীড় ছিলো।
আর জেলা প্রশাসক বলছেন, জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ১৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাসহ সতর্ক করেও লাভ হচ্ছে না।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। সেসময়ে ২৬৯ জনকে আর্থিক জরিমানা করেছি। একযোগে আমাদের অভিযানটি চলছে। জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১৬৩ জন। আর মারা গেছে ৩১ জন।