টিকা উৎপাদনের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে

শুরু হচ্ছে অক্সফোর্ডের টিকার শেষ পর্বের ট্রায়াল

৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এবার এই টিকা প্রয়োগ করা হবে

ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে লকডাউন দীর্ঘমেয়াদী হলেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ভরসা যোগাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকটি। ইতোমধ্যেই এই প্রতিষেধকটির তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এবার এই টিকা প্রয়োগ করা হবে।

করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের নিরিখে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তিনটি দেশকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই অক্সফোর্ডের টিকার চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার, ইংল্যান্ডের ১০ হাজার এবং ব্রাজিলে অন্তত ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকার শেস পর্বের হিউম্যান ট্রায়াল হবে।
এ দিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি এই প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’। এই টিকা উৎপাদনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও। সেপ্টেম্বরে মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে একজোটে এগোচ্ছে এই দুই সংস্থা।
গত মঙ্গলবার সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা জানান, প্রতিষেধকটির উৎপাদনের জন্য ১০ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা) অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই প্রতিষেধক উৎপাদনের কাজও শুরু হয়ে যাবে। তবে প্রতিষেধকটির চূড়ান্ত পর্বের হিউম্যান ট্রায়ালের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত এটির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার দিক বিবেচনা করে এটিকে বাজারে ছাড়া হবে না।
পুনাওয়ালা জানান, করোনা পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে জরুরি ভিত্তিতে করোনা টিকার জোগান দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে সংস্থা। এর জন্য নিজেরাই ঝুঁকি নিয়ে আপাতত কয়েক লাখ প্রতিষেধকের ডোজ তৈরি করে রাখছে সিরাম ইনস্টিটিউট।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button