শিক্ষায় ঘাটতি পোষাতে ১০০ কোটি পাউন্ড বরাদ্দ যুক্তরাজ্যে
নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউনের কারণে যুক্তরাজ্যের স্কুলপড়ুয়াদের শিক্ষা কার্যক্রমে বেশ ক্ষতি হয়ে গেছে। এ ঘাটতি পুষিয়ে নিতে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। আর এ কাজে সহায়তার লক্ষ্যে প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ডের (১২০ কোটি ডলার) তহবিল সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে ৬৫ কোটি পাউন্ড পাবে সরকারি তহবিলপুষ্ট প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলো। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানরাই সিদ্ধান্ত নেবেন এ অর্থ তারা কীভাবে খরচ করবেন। এছাড়া ৩৫ কোটি ডলার আলাদাভাবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা ব্যয় হবে চরমভাবে সুবিধাবঞ্চিত প্রায় ২০ লাখ শিশুকে শিক্ষাদান কর্মসূচিতে।
যুক্তরাজ্যে লকডাউনের কারণে সেই ২০ মার্চ থেকে স্কুল বন্ধ রয়েছে। প্রথমে সরকার গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগে স্কুল চালুর পরিকল্পনা করলেও পরে তা বাতিল করে দেয়। এ নিয়ে সরকারের কম সমালোচনা হয়নি। শিক্ষাবিদরা আশঙ্কা করছেন, এত দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীরা স্কুল থেকে দূরে থাকলে একটা পিছিয়ে পড়া প্রজন্ম তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশু, যাদের ইন্টারনেট বা কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ নেই বললেই চলে, তাদের ক্ষেত্রে ঘাটতিটা আরো বেশি হবে।
বরিস জনসন বলেছেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সব শিক্ষার্থীকে স্কুলে ফেরাতে যা কিছু করা প্রয়োজন, তা আমি করব। যত দ্রুত সম্ভব যেন এর বাস্তবায়ন হয়, তার জন্য আরো পরিকল্পনা সাজাব আমরা।’
গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের ৭০ শতাংশের বেশি প্রাথমিক স্কুল কিছু নির্দিষ্ট বয়সভিত্তিক শিক্ষার্থীকে স্কুলে ফেরানোর কাজ শুরু করেছে। তবে সব বয়সী শিক্ষার্থীরা কবে স্কুলে ফিরতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো হয়নি। বিশেষ করে এমন এক সময়ে শিশুদের স্কুলে ফেরানোর কথা বলা হচ্ছে, যখন যুক্তরাজ্যে এখনো প্রতিদিন এক হাজারের বেশি কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন কিনা, সে বিষয়েও সন্দেহ রয়েছে।