যুক্তরাজ্যে নতুন যুগান্তকারী আইন: দিনশেষে কাজের বেতন পাবেন শ্রমিক কর্মচারীরা
ঋষি সুনাক এমন একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন, যা হিমশিম খাওয়া শ্রমিক কর্মীদের কাজের মজুরী কাজ করার দিনেই পরিশোধের ব্যবস্থা থাকবে। এ ব্যবস্থা চালু হলে শ্রমিক-কর্মীদের বেতনের জন্য মাস শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে হবে না এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময় নগদ অর্থ প্রবাহ সংকটে ভোগা লাখ লাখ মানুষকে স্বস্তি দেবে।
লেবার পার্টির সাবেক অর্থমন্ত্রী ফিল উলাস উত্থাপিত এই প্রস্তাবের অর্থ হচ্ছে, যে কেউ একজন নিয়োগকর্তার পে-রোল ব্যবহার করতে পারবে তার অর্থের জন্য, তবে এক্ষেত্রে কোন ওভারড্রাফট্ সুবিধা পাবে না।
ফাইন্যান্সিয়াল সেক্রেটারী জেস্ নরম্যান এখন এই স্কীমের বাস্তবায়ন নিয়ে ব্যস্ত। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এ ব্যাপারে আগ্রহী এবং তারা ১ কোটি ৬ লাখ কর্মচারী কাভারকারী পে-রোল প্রদানকারী কর্তৃক সহায়তাকৃত।
ব্রিটিশ ট্রেজারী সিলেক্ট কমিটি নগদ অর্থ সংকটে থাকা শ্রমিক-কর্মীদের সহায়তার পন্থা খুঁজছে। অধিকাংশ কোম্পানী প্রশাসনিক সুবিধার জন্য কর্মচারীদের মাসিক বেতন বা মজুরী প্রদান করে থাকে। কিন্তু পে-রোল এডভান্স টেকনোলজির অর্থ হচ্ছে অধিকতর পেমেন্টসমূহে ব্যয় পড়বে মাসিক মাত্র ৩ পাউন্ড, সম্ভবত :শ্রমিক-কর্মচারীদের তা পরিশোধ করতে হবে।
মিঃ উলাস বলেন, এতে শ্রমিকেরা যথাশীঘ্র তাদের অর্থ পেয়ে যাবে, বিশেষভাবে যারা আর্থিক সংকটে আছে। এটা তাদেরকে মাথা পানির ওপরে উঁচিয়ে রাখতে এবং জীবণকে সুবিধাদির মাঝে রাখতে কোন তারতম্য করবে না। তাৎক্ষণিক নগদ অর্থের প্রয়োজন আছে এমন শ্রমিকদের জন্য সবচেয়ে সাধারণ কারণসমূহ হচ্ছে,অপ্রত্যাশিত গৃহস্থালী এবং কার মেরামত কিংবা অসুস্থ আত্মীয়স্বজনকে সহায়তার জন্য ভ্রমণ। স্কীমটি অসাধু পে-ডে ঋণদাতাদের দ্বারস্থ হওয়ার অবসান ঘটাবে। যুক্তরাজ্যের অর্ধেক শ্রমিক নগদ ৫০০ পাউন্ডের বেশী পাবেন না।
মিঃ উলাস বলেন, এই স্কীম বৈধ ঋণ হাঙ্গরদের ব্যবসায় সমাপ্তি ঘটাবে। এ ব্যবস্থা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিকদের ৮ সপ্তাহের বিধিসম্মত ব্যাক পে’র ব্যবহারকেও অন্তর্ভুক্ত করবে, যা আর্থিক বাজারগুলোতে সহজ নগদ অর্থে ৮৬ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা বিধান করবে। কোম্পানীসমূহ টিকে থাকার জন্য অর্থ ব্যবহার করতে এবং স্টাফদের বেতন পরিশোধ অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে।
ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে যে, মহামারি শুরু থেকে ব্যাংকগুলো ২ কোটি ৭০ লাখ সুদমুক্ত ওভারড্রাফট্ প্রদান করেছে এবং ক্রেডিট কার্ডসমূহে ৯ লাখ ৬১ হাজার ৭শ’ পেমেন্ট বা অর্থ পরিশোধ মুলতবী বা বিলম্বিত করেছে। এছাড়া ১৯ লাখ মর্গেজ পেমেন্ট অর্থাৎ বন্ধক পরিশোধ স্থগিত করেছে।