জেএমজি এয়ার কার্গোর হিথ্রো ব্রাঞ্চের উদ্বোধন
ব্রিটেনের খ্যাতিমান এয়ার কার্গো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জেএমজি এয়ার কার্গোর হিথ্রো ব্রাঞ্চের উদ্বোধন হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেএমজির নতুন এ ব্রাঞ্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন টাওয়ার হেমলেটস এর নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান।
৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হান্সলোর আশোকা ব্যানকুয়েটিং হলে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্রিটেনে কার্গো ব্যবসা জেএমজি যে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা এনেছে সেটা বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য অহংকারের বিষয়। বক্তারা বলেন, ব্যবসা ক্ষেত্রে জেএমজির সফলতা বাংলাদেশী কমিউনিটির সফলতা। আর জেএমজি সে সফলতা অর্জন করেছে ব্যবসা ক্ষেত্রে তাদের কমিটমেন্ট রক্ষার মাধ্যমে। বক্তারা জেএমজির সার্বিক সফলতা কামনা করে বলেন, ইউকেতে নিজেদের সফলতার পর জেএমজি ইউরোপব্যাপী তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করে কার্গো ব্যবসায় আমাদের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেএমজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমদ এর সভাপতিত্বে ও একাউন্টেন্ট আবুল হায়াত নুরুজ্জামান এর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন টাওয়ার হেমলেটস এর নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান।
সাংবাদিক এনাম চৌধুরীরর তেলাওয়াত এবং জেএমজির হিথ্রো ব্রাঞ্চের সিইও আলী সাদেক শিপুর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হানস্লো বারা’র মেয়র কাউন্সিলর সচীন গুপ্তা, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস (ইউকে) ডিজিএম আতিক রহমান চিশতী, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এর মুকিম আহমদ, বাংলাদেশ হাই কমিশনের কমার্শিয়ার কনস্যুলার শরীফা খান, ডানাটার বিজনেস ডেভোলাপমেন্ট ম্যানেজার রিয়াদ হোসেইন।
বক্তব্য রাখেন, জেএমজির হিথ্রো ব্রাঞ্চের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার এফ আর রাহিন, বিবিসিসির ফাইনেন্স ডাইরেক্টর মহিব চৌধুরী, এটিএন বাংলার সিইও হাফিজ আলম বখশ, এনটিভির ডাইরেক্টর মোস্তফা সারওয়ার বাবু, একাউন্টেন্ট মাহবুব মুরশেদ, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসাইন, আশফুড স্পেলটন মসজিদের প্রেসিডেন্ট হাজি মতিন মিয়া, হিলসাইড ট্রাভেলস এর ম্যানেজিং ডারেক্টর হেলাল খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে টাওয়ার হেমলেটস এর নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান জেএমজি কর্তপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির স্বতন্ত্র একটি ঐতিহ্য রয়েছে আর সে ঐতিহ্যের সবচেয়ে বড় ধারক টাওয়ার হেমলেটস বারা। জেএমজি এয়ার কার্গো টাওয়ার হেমলেটস বারায় তার ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করে এখন সমগ্র ইউরোপ ছড়িয়ে দিয়ে সে সাফল্য দেখিয়েছেন এর অংশিদার টাওয়ার হেমলেটস বাসী। মেয়র লৎফুর রহমান জেএমজির স্বত্ত্বাধিকারী মনির আহমদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মনির আহমদ তরুণ প্রজন্মকে ব্যবসায় যে নতুন পথ দেখিয়েছেন এ সাফল্য অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। তিনি জেএমজির সফলতা কামনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হানসলো বারার মেয়র কাউন্সিলার সচিন গুপ্তা বলেন, ব্যবসার মাধ্যমে একটি জাতির স্বতন্ত্র পরিচয় ফুঁটে উঠে। জেএমজি কার্গো এশিয়ান কমিউনিটির এমনি একটি ব্যবসা, যেটি ছোট বড় থেকে শুরু করে এখন অনেক বড় পর্যায়ে পৌছে গেছে। মেয়র সচীন তার বারায় জেএমজি কার্গোর নতুন ব্রাঞ্চ খোলার ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কার্গো ব্যবসায় জেএমজির এ যাত্রা যেন অনেক অনেক সফল হয়।
বিমানের ডিজিএম আতিক রহমান চিশতী জেএমজি এয়ারকার্গোর নতুন শাখা উদ্বোধনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জেএমজি কার্গো ব্যবসা ক্ষেত্রে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এর জন্য একটি বড় সহায়ক শক্তি। জেএমজি শুধু নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করেনি, তারা কমিউনিটিকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি জেএমজির সার্বিক সফলতা কামনা করে ব্যবসা ক্ষেত্রে বিমানের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
বাংলাদেশ হাই কমিশনের কমার্শিয়াল কনস্যুলার মিসেস শরীফা খান বলেন, ব্রিটেনে ব্যবসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশীরা যে সফলতা দেখাচ্ছেন তার বাস্তব উদাহরণ হলো জেএমজি এয়ারকার্গো। জেএমজি ব্যবসার মাধ্যমে এখানকার বাংলাদেশী কমিউনিটিকে যে বড় সেবা দিচ্ছে সে জন্য তারা শুধু বাংলাদেশ হাই কমিশন নয়, সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ পাওয়ার দাবী রাখে। শরীফা খানম জেএমজির সার্বিক সফলতা কামনা করে হাই কমিশনের পক্ষ থেকে সর্ব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাসর প্রদান করেন।
ডানাটা কর্মকর্তা জিয়াদ হোসেইন জেএমজির ব্যবসা সম্প্রসারনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ব্যবসা ক্ষেত্রে জেএমজির সফলতা আমাদের জন্য উৎসাহের বিষয়। তারা ব্যবসার পাশাপাশি বাংলাদেশী কমিউনিটিকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি জেএমজির ডানাটার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জেএমজির প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনির আহমদ বলেন, জেএমজি কার্গো আমার শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমার একটি স্বপ্ন। আমি আমার শিক্ষা জীবন থেকে এ ব্যবসাকে শিখেছি এবং একে উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যম হিসেবে বেঁচে নিয়েছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একজন মানুষ যদি তার চাওয়াটাকে পূর্ণ করতে পারে তবে সে মানুষটি অবশ্যই মন থেকে খুশি হয়। আমার প্রতিষ্ঠান থেকে যখন গ্রাহকরা তাদের পছন্দের জিনিসগুলো প্রিয়জনদের পাঠিয়ে খুশী হন তখন আমার সেটা মনের মধ্যে খুব রেখাপাত করে। সেই আনন্দে আমি কমিউনিটির সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি। মনির আহমদ প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি সহ সকল আমন্ত্রিত অতিথিদের কৃতজ্ঞতা জানান।