মহামারীতে বৈশ্বিক চিকিৎসা সহায়তায় তৃতীয়স্থানে তুরস্ক
এই সময়ে বিশ্বব্যাপী ১৩১টি দেশকে সহায়তা করেছে তুরস্ক
পররাষ্ট্রনীতিতে উদ্যোক্তা এবং মানবিক উপলব্ধির প্রতিফলন ঘটিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চিকিৎসা সহায়তা প্রদানকারী দেশ এখন তুরস্ক। সোমবার দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াভুজ সেলিম কিরণ এই মন্তব্য করেছেন। চতুর্থ ব্রাসেলস সম্মেলনে করোনাভাইরাসের আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অনুষ্ঠিত একটি অধিবেশনে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সেলিম কিরণ বলেন, করোনাভাইরাস মাহমারীর এই সময়ে বিশ্বব্যাপী ১৩১টি দেশকে সহায়তা করেছে তুরস্ক।
তিনি বলেন, তুরস্ক শরণার্থী রক্ষা করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহায়তার অবদান রাখার দ্বৈত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুরস্কের সাফল্যের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আমরা শরণার্থীসহ সকলকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ করেছি। এটি আমাদের মহামারীর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেছে। তবে আন্তর্জাতিক সংহতি ছাড়া এ মহামারীর বিরুদ্ধে বৈশ্বিক সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়।
শরণার্থীদের নিয়ে তিনি বলেন, দেশে অবস্থিত শরণার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা উচিত নয়। এ পরিস্থিতিতে তাদের ফেরত পাঠানোও অনুচিত।
গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনা প্রাদুর্ভাবের পর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯’এ মৃত্যুর সংখ্যা চার লাখ ৬৯ হাজার।
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ ইদলিবের বাস্তুচ্যুত মানুষদের বিষয়ে সেলিম কিরণ বলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাই তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র নিশ্চয়তা। তিনি আরো বলেন, শরণার্থী সঙ্কট আমাদের সবার জন্য একটি সাধারণ সমস্যা বিবেচনা করে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। তিনি ইদলিবে তুরস্ক ও জার্মানি সমর্থিত অর্ধস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রায় ৪০ লাখ শরণার্থী নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশ্বে অন্য দেশগুলোর তুলনায় তুরস্ক প্রথম অবস্থানে রয়েছে। তুরস্কে অবস্থানরত বেশিরভাগ শরনার্থী সিরিয়ান৷