বাদশাহ আব্দুল্লাহর আমন্ত্রিত মেহমানরা হজ্জে আসতে শুরু করেছেন
পবিত্র মসজিদ দ্বয়ের খাদেম সৌদী বাদশাহ আব্দুল্লাহর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় মেহমান হয়ে চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে যে দুই হাজার চারশ’ জন বিদেশী হজযাত্রীর সৌদিআরব গমনের কথা, তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম ৫০ জন শ্রীলংকান গত সোমবার সৌদিআরবে পৌঁছেছেন ।
রষ্ট্রীয় মেহমান হয়ে আসা হজ্জযাত্রী কার্যক্রমের সিইও আব্দুল্লাহ আল-মুদলাজ বলেন, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম নেতৃবৃন্দ বাদশাহর আমন্ত্রণে পবিত্র হজ্জ পালনের জন্য সৌদি আরবে আসছেন ।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে আমন্ত্রিত ২৪০০ জন হজযাত্রীর মধ্যে ৮০টি দেশ থেকে আসবেন এক হাজর চারশ’ জন এবং বাকী এক হাজার আসবেন শুধুমাত্র ফিলিস্তিন থেকে। ইতোমধ্যে মক্কাভিত্তিক মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ (এম ডাব্লিউ এল) জানিয়েছে তারা আরো ৫০০ জনকে হজ্জে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন যাদের মধ্যে রয়েছেন মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যারা মসজিদ, মাদরাসা, ইয়াতিমখানা হাসপাতাল ও বিভিন্ন ইসলামী কেন্দ্র নির্মাণের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালক। এম ডাব্লিউএল-এর সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল-তুর্কী বলেন, বিভিন্ন দেশের মুসলিম নেতারাও এবারের হজ্জে শরিক হবেন।
মক্কার গবর্নর প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সাল গত সোমবার জেদ্দার ইসলামিক পোর্ট পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন জেদ্দার গবর্নর প্রিন্স মিশাল বিন মজিদ, হজ্জমন্ত্রী বান্দার হাজার এবং পরিবহনমন্ত্রী জাবারা আল-সেরাইসরি। চলতি বছর হজ্জ পালনে মক্কায় আগত একদল বিদেশী মেহমানকে জেদ্দা বন্দরে অভিনন্দন জানান প্রিন্স খালিদ। এ সময় তিনি বন্দরের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।
বন্দরের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় আল-সেরাইসরি বলেন, সৌদী বন্দর কর্তৃপক্ষ বর্তমানে একশ’ কোটি সৌদী রিয়ালের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং অতি শীঘ্রই আরো ২৫ কোটি ৪০ লাখ রিয়ালের প্রকল্পে স্বাক্ষর করা হবে। অপর দিকে পবিত্র কাবার নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া আল-জাহরানী বলেন, হজ্জের সময় কঠোর নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কাবার বিভিন্ন স্থানে এক হাজার একশত ৬৭টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে মসজিদের ভিতরে অবস্থানরত হাজীদের গতিপ্রকৃতি লক্ষ্য রাখা হবে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি জানান, চলমান সম্প্রসারণ কাজের কারণে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা বাহিনীর পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হচ্ছে।
তবে এ সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হলে পবিত্র কাবা ঘিরে হাজীদের যে ভিড় সৃষ্টি হয় তা অনেকটা হ্রাস পাবে। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে হাজীরা কাবার চারিদিকে তাওয়াফের ক্ষেত্রে প্রথম তলা, নিচ তলা এবং আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোর ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া নবনির্মিত মাতাফে হাজীরা তাদের হজ্জের আন্ষ্ঠুানিকতাও পালন করতে পারবেন।