সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা বাড়ছেই

সুইস ব্যাংক গুলোতে বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড় বেড়েই চলেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেও বাংলাদেশিদের আমানত ছিল সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। কালো টাকার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেয়ায় ভারত-পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সুইস ব্যাংকে আমানত অনেক কমেছে । বৃহস্পতিবার, সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়।
ধনীদের অর্থ, গোপনে গচ্ছিত রাখার জন্য বহুযুগের খ্যাতি সুইজারল্যান্ডের। প্রায় দু’শ বছর ধরে, এই ধরনের ব্যাংকিং সেবার কেন্দ্র ইউরোপের দেশটি। ৮০ লাখ মানুষের দেশে, ব্যাংকের সংখ্যা ২৪৬টি। গ্রাহকের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে কঠোর তারা। ধারণা করা হয়, অবৈধ আয় ও কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকা রাখা হয়, সুইস ব্যাংকে।
সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের তথ্য না দিলেও, কয়েক বছর ধরে দেশভিত্তিক আমানতের পরিমাণ প্রকাশ করছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯’র ডিসেম্বরে, সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ; দেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা। ঠিক এক বছর আগে, এ অঙ্ক ছিলো ৬১ কোটি ৭৭ লাখ ফ্রাঁ বা ৫ হাজার ৫৫৩ কোটি।
সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, কোন বাংলাদেশি, নাগরিকত্ব গোপন রেখে অর্থ জমা রেখে থাকলে, ওই টাকা এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত নয়। গচ্ছিত রাখা স্বর্ণ বা মূল্যবান সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমানও হিসাব করা হয়নি এই প্রতিবেদনে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য সব দেশের আমানত কমেছে অনেক। পাঁচ বছরে, ভারতীয়দের জমা কমেছে অর্ধেক। মাত্র দু’বছরে পাকিস্তানিদের আমানত কমেছে এক-তৃতীয়াংশ।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি- জিএফআই’র হিসাবে, বছরে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, সুইজারল্যান্ডে গোপনীয়তা কিছুটা কমায়, অনেকে এখন অবৈধ টাকা জমা রাখার জন্য ঝুঁকছেন , লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, পানামা কিংবা বারমুডার মতো ট্যাক্স হ্যাভেনের দিকে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button