ব্রিটেনের অর্থনীতি ‘ভি-আকৃতির’ পুনরুজ্জীবনের পথে

ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলেছে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি একটি ভি-আকৃতির পুনরুজ্জীবনের পথে রয়েছে। লকডাউনের ফলে সৃষ্ট মন্দা থেকে প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানেরা পর এই পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকের চীফ ইকোনোমিস্ট বলেন, আগের প্রমানাদি থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিধি নিষেধ শিথিল হওয়ার পর ভোক্তাব্যয়ের বৃদ্ধি থেকে ব্রিটেন লাভবান হচ্ছে।

তিনি বলেন যে, যদি এই পুরুজ্জীবনের ধারা অব্যাহত থাকে, তবে জিডিপি’র বার্ষিক ক্ষতি প্রথমের ভীতির চেয়ে অনেক কম হবে, যা গত মাসের ১৭ শতাংশের পূর্বাভাসের তুলনায় ৮ শতাংশ। তবে তিনি এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারন করেন যে, অক্টোবরের শেষে সরকারের ফারলো স্কীম শেষ হলে গনবেকারত্ব সহ উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি সমূহ থেকেই যাবে।
মঙ্গলবারের ওয়েবিনার বক্তব্যে মি: হালডেইন বলেন, আমার দৃষ্টিতে যদিও এসব ঝুঁকি মে মাসের চেয়ে কিছুটা অধিক সুষ্টুভাবে ব্যালেন্সকৃত, এগুলো নিম্নগামী থেকে যায়। এসব ঝুঁকিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যা পরিহার করতে হবে সেটা হচ্ছে আশির দশকের উচ্চ ও দীর্ঘ মেয়াদী বেকারত্বের হরের পুনরাবৃত্তি, বিশেষভাবে তরুন যুবকদের বেকারত্ব।
মি: হালডেইন আরো বলেন, যুক্তরাজ্য ও বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধার একটু তাড়াতাড়িই এসেছে এবং ব্যাংকের মনিটরি পলিসি কমিটির মে মাসের পূর্বাভাসের চেয়ে তা বাস্তবিক দ্রুততর এসেছে। তিনি আরো বলেন, এটা প্রাথমিক দিনগুলো, তবে প্রমানাদি দৃষ্টে যা বুঝতে পারছি তা হচ্ছে, তা ভি-আকৃতিরই।
গত মঙ্গলবারে প্রকাশিত অফিশিয়েল পরিসংখ্যান থেকে এটা দেখা যায়, জানুয়ারী ও মার্চের মধ্যবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি প্রাথমিক ধারনার চেয়ে বেশী সংকুচিত হয়, অর্থ্যাৎ ২.২ শতাংশ হ্রাস পায়। এটা ১৯৭৯ সাল থেকে সবচেয়ে বড় পতন। তবে মি: হালডেইন যুক্তরাজ্যে ও বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের প্রেক্ষিতে এপ্রিলে জিডিপিতে রেকর্ড ২০.৪ শতাংশ সংকোচনের বিষয়টি ‘প্রাচীন ইতিহাস’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ব্যাংকের চীফ ইকোনোমিস্ট ৯ সদস্যের শক্তিশারী মনিটারি পলিসি কমিটির একমাত্র সদস্য যিনি জুনের সভায় ক্রমবর্ধমান মানগত শিথিলের বিরুদ্ধে ভোট প্রদান করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button