খুলেছে রেষ্টুরেন্ট, পাব, জিম, খেলার মাঠসহ অন্যান্য উন্মুক্ত জায়গা
জনগণকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
উপাসনালয়গুলোতে আবারও প্রার্থনা করতে যেতে পারবেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা
লকডাউনের তিন মাসেরও বেশি সময় পর আজ শনিবার থেকে ফের খুলে দেয়া হয়েছে যুক্তরাজ্যের সকল রেষ্টুরেন্ট, পাব, সেলুন ও সিনেমা হলগুলো। শনিবার থেকে চালু হওয়া এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অবশ্যই কড়া স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পাব-রেস্টেুরেন্টের পাশাপাশি ইংল্যান্ডে খুলে দেয়া হয়েছে জিম, খেলার মাঠসহ অন্যান্য উন্মুক্ত জায়গাগুলোও। দরজা খুলেছে লাইব্রেরি, কমিউনিটি সেন্টার, বিঙ্গো হল, যাদুঘর, গ্যালারিগুলোর। বিভিন্ন থিম পার্ক, স্কেটিং রিঙ্কস, ক্লাবের মতো বিনোদেনকেন্দ্রগুলোও খুলে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে মসজিদ-চার্চের মতো উপাসনালয়গুলোতে আবারও প্রার্থনা করতে যেতে পারবেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। সর্বোচ্চ ৩০ জন সমবেত হওয়ার শর্তে আয়োজন করা যাবে বিয়ের অনুষ্ঠানও।
তবে রেষ্টুরেন্ট ও পাবে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ জনগণকে দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। একই সঙ্গে তিনি নিজেও একবার পাবে ঘুরে আসেন। জনসন বলেছেন, আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার উদ্দেশ্য হলো, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও তাদের কর্মচারীদের জীবিকায় সহায়তা করা। কারণ নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জারীকৃত লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। একই সঙ্গে চাকরি হারিয়েছেন বহু কর্মচারী। এখন ফের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো চালুর উদ্দেশ্যে সেগুলোকে গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ করা হয়েছে।
তবে বরিস জনসনের মতে, এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সাফল্য, এর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের জীবিকা ও পরিশেষে পুরো দেশের আর্থিক সুস্বাস্থ্য নির্ভর করছে প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্বশীল আচরণের ওপর।
এক বিবৃতিতে বরিস জনসন বলেন, আমরা যেন এসব ব্যবসায়ীকে ব্যর্থ করে না দিই। কারণ এখনো আমরা করোনা থেকে পুরো বিপদমুক্ত হতে পারিনি। বিশেষ করে লেইচেস্টারে সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা সেদিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করছে। নতুন করে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে চলতি সপ্তাহে স্থানীয় বিদ্যালয় ও দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৪ জুলাই পুনরায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তেও বিলম্ব ঘটাচ্ছে। এর মানে হলো, ভাইরাসটি এখনো আমাদের মধ্যেই আছে। এখন কোনোভাবে ফের যদি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে সরকার পুনরায় বিধিনিষেধ আরোপে সংকোচ করবে না। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পরিক্রমায় ব্রিটিশ জনগণকে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। এদিকে নিয়মভঙ্গ করলে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। তিনি বলেছেন, মানুষজন পাবে গিয়ে মজা করতে পারবে, কিন্তু নিয়ম ভাঙলে শেষপর্যন্ত জেলও খাটতে হতে পারে।
As pubs and restaurants open across England today, it’s absolutely vital that everyone follows the rules on social distancing.
We’ve worked so hard and together saved so many lives.
Stick to the rules this weekend, keep apart from others and wash your hands several times a day.— Boris Johnson #StayAlert (@BorisJohnson) July 4, 2020
Our goal remains to enable as many people as possible to live their lives as close to normally as possible in a way which is as fair and as safe as possible. pic.twitter.com/q6SMGxtNst
— Boris Johnson #StayAlert (@BorisJohnson) July 4, 2020