নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা মক্কা নগরী
এবারের হজ মনিটরিংয়ে অত্যন্ত উচ্চ প্রযুক্তির ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। হাজিদের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে চার হাজার দুইশ ক্যামেরা। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে হজ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দুল্লাহ যাহরানী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এ ক্যামেরাগুলি প্রতিকূল আবহাওয়াতেও ৬০ কি.মি. পর্যন্ত এলাকার তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম।’
তিনি বলেন, ‘জননিরাপত্তা বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) আমাদের সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। আর তাই আমরা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চার হাজার দুইশটি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। গুরুত্ব বিবেচনা করে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। হজের সময়টাতে সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়াই এ বিভাগের মূল লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি বিদ্যুৎ বিভাগ থেকেও হজ উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর সফলভাবে হজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সৌদি বিদ্যুৎ বিভাগ একটি বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। হজের সময় মক্কা, মীনা, আরাফাহ এবং মুজদালিফায় প্রায় ২০ লাখ মানুষের উপস্থিতি ঘটে। এই সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
সৌদি বিদ্যুৎ বিভাগের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) আলী বিন সালেহ আল বারাক হজের সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।
তিনি বলেন, ‘হজের সময় মক্কা ও মদিনার ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সৌদি বিদ্যুৎ বিভাগ সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে।’
হজ উপলক্ষে মক্কার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা দেখার জন্য আল-বারাক সৌদি বিদ্যুৎ বিভাগের মক্কা অফিস পরিদর্শন করেন। পরে মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল ফয়সালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের প্রস্তুতির ব্যাপারে গভর্নরকে ওয়াকিবহাল করান।
তিনি গত পাঁচ বছরে তাদের কাজের সফলতা এবং আগামী পাঁচ বছরে আরো আট হাজার চারশ পাঁচ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বৃদ্ধি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আর এই জন্য ৫১ বিলিয়ন রিয়ালের ২০০টি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, এ বছর আন্তর্জাতিক নওমুসলিম সংস্থা (আইওএনএম) এবং আন্তর্জাতিক তাহফিজুল কোরান সংস্থা (আইকিউএমও) ২৫ জন নওমুসলিমকে হজ্জ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এ সংস্থা দুটি হাসান সারবাতলি ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাফেজে কোরানদেরও সহায়তা প্রদান করবে।
আন্তর্জাতিক নওমুসলিম সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল খালিদ আল রোমাইহ বলেন, ‘আমাদের সংস্থা নতুন ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তিদের হজ পালনে সহায়তা করে থাকে। আমরা চাই অন্যান্য মুসলিমদের সঙ্গে নওমুসলিমদের একটি সুদৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হোক।’
হাসান সারবাতলি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম সারবাতলি হজের সময় বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ অক্টোবর সোমবার হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর হজ পালন করার উদ্দেশে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোববার পর্যন্ত ১১ লাখ পাঁচশ ৪৪ জন মুসল্লি মক্কা এবং মদিনায় অবস্থান করছেন।