‘প্রাইভেসি’ বাঁচাতে কাঠগড়ায় মেগান
স্বামী প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে রাজপরিবার ছাড়ার পর একের পর এক ঝামেলা এসে হাজির হচ্ছে যুক্তরাজ্যের ‘ডাচেস অব সাসেক্স’ মেগান মার্কেলের জীবনে। রাজপরিবারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকার সময়েও তারা যেমন মিডিয়া এবং সাধারণ মানুষের নজরবন্দি ছিলেন, এখন স্বাধীন ও সাধারণ নাগরিকের জীবন বেছে নিলেও মিডিয়ার নজর থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। তাকে নিয়ে ব্রিটিশ ও মার্কিন মিডিয়া একের পর এক মুখরোচক খবর তৈরি করে চলেছে। এতে বেজায় চটেছেন মেগান।
সম্প্রতি ‘প্রাইভেসি’ (ব্যক্তিগত গোপনীয়তা) ভঙ্গের অভিযোগে ‘অ্যাসোসিয়েটেড নিউজ পেপারের সঙ্গে মামলার ঝামেলায় জড়িয়েছেন সাবেক এই হলিউড তারকা। এছাড়া যুক্তরাজ্যের আরও কয়েকটি পত্রিকার বিরুদ্ধে প্রাইভেসি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মামলা করায় ঘন ঘন তাকে কাঠগড়ায় উঠতে হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে। তারপরও মিডিয়াগুলো তার পিছু ছাড়ছে না।
সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়াতে খবর প্রকাশিত হয়, মেগান তার এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে জীবন থেকে ‘ছুড়ে’ ফেলে দিয়েছেন। তাকে আর চিনতেই পারছেন না। ফলে ওই তরুণী মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙে পড়েছেন। মানসিক চাপে তার পেশাগত জীবনও ধ্বংসের মুখে চলে এসেছে। মেগানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব থাকার কারণে যেসব কোম্পানি তাকে তাদের পণ্যের দূত বানিয়েছিল তারাও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের একটি আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মেগান আবেদন করেন, তার কোনো বন্ধু-বান্ধবীর নাম যেন মিডিয়া ফাঁস না করে। তার এটুকু প্রাইভেসি রক্ষার ব্যবস্থা যেন আদালত করে। কারণ ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নাম মিডিয়া প্রকাশ করলে সুযোগসন্ধানীরা তাদের সঙ্গে (বন্ধুদের) যোগাযোগ করতে পারে, তার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে সেগুলো আবার মিডিয়ায় বিক্রি করার জন্য। ফলে তাকে আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হবে।