কাবা শরিফের নতুন গিলাফ হস্তান্তর, বদলানো হবে ৯ জিলহজ্ব

পবিত্র মক্কা শরীফের গভর্নর যুবরাজ খালেদ আল ফয়সাল মসজিদে হারামের প্রধান ইমাম ও খতিব শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসের কাছে কাবা শরিফের নতুন গিলাফ হস্তান্তর করেছেন। এ সময় কাবার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক শায়খ সালেহ বিন যাইনুল আবিদিন আশ শিবলিসহ মসজিদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২৪ জুলাই মসজিদে হারামের তত্ত্বাবধায়ক কমিটির সদস্যরা তৈরিকৃত নতুন গিলাফ কারখানায় যেয়ে দেখে আসেন।

রীতি অনুযায়ী ৯ জিলহজ ফজরের নামাজের পর হজযাত্রীরা যখন আরাফার ময়দানে অবস্থান করবেন, তখন নতুন এ গিলাফ চড়ানো হবে পবিত্র কাবায়। কাবার নতুন গিলাফ তত্ত্বাবধায়কদের কাছে হস্তান্তরের সময় ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ধন্যবাদ জানান। মক্কার নিকটবর্তী উম্মুল জুদ এলাকায় কাবার গিলাফ তৈরির একটি কারখানা রয়েছে। যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ শ্রমিক সারা বছর কাবার গিলাফ তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন।
কাবা শরিফের গিলাফকে ‘কিসওয়াহ’ বলা হয়। কালো রেশমি কাপড়ে তৈরি গিলাফটির গায়ে স্বর্ণের সুতা দিয়ে আরবি ক্যালিওগ্রাফিতে লেখা থাকে- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ, আল্লাহতায়ালা, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম, ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান’সহ আল্লাহতায়ালার পবিত্র নামসমূহ।
১৪ মিটার দীর্ঘ ও ৯৫ সেমি প্রস্থ ৪১টি বস্ত্রখণ্ড জোড়া দিয়ে তৈরি করা হয় গিলাফ। চার কোনায় সৌন্দর্যবর্ধন করে বৃত্তাকারে লেখা থাকে সূরা ইখলাস। রেশমি কাপড়ের নিচে দেওয়া হয় মোটা সাধারণ কাপড়। গিলাফের বাইরের কালো কাপড়ে স্বর্ণমন্ডিত রেশমি সুতা দিয়ে দক্ষ কারিগর দিয়ে ক্যালিওগ্রাফি করা হয়। একটি গিলাফ তৈরি করতে ১২০ কেজি সোনার সুতা, ৭০০ কেজি রেশম সুতা ও ২৫ কেজি রুপার সুতা লাগে। গিলাফটির দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার এবং প্রস্থ ৪৪ মিটার।
কাবাঘরের গিলাফ তৈরির কারখানাটি মক্কা নগরীর উম্মুল জুদ এলাকায় অবস্থিত। এ কারখানায় মদিনায় হুজরায়ে নববীর গিলাফও তৈরি করা হয়। কাবার গিলাফ তৈরিতে ১ কোটি ৭০ লাখ সৌদি রিয়াল ব্যয় হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৮ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৪ টাকার মতো।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button