ভয়াবহ অর্থনৈতিক ঝুঁকির মুখে ব্রিটেন
৬ মাস পূর্বেই ব্রিটেনকে বিশ্ব বাণিজ্যের সুপারম্যান আখ্যা দিয়ে ব্রেক্সিট উদযাপন করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিন্তু ব্রিটেনের অর্থনীতির ঝুঁকির গতি যেনো দৌড়াচ্ছে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের একক বাজারে প্রবেশ অধিকার হারিয়েছে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য কোনো বাণিজ্য চুক্তিও হয় নি, অন্যদিকে এরসঙ্গে পালে বিপরীত হাওয়া দিয়েছে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রিটেন পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রীক হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যেই ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে নানামুখী অনিশ্চয়তা অর্থনীতিতে নিম্নমুখী প্রভাব ফেলেছে। ব্রিটেনের বাণিজ্য নীতি প্রকল্পের সাবেক নির্বাহী ডেভিড হ্যানিগ বলেন, ‘ইতোমধ্যেই ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউ’র সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়েছে। যদি এখন তারা চীন এবং হংকংয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ করে তবে বাণিজ্যে বাড়তি বাধা যুক্ত হবে।’
২০১৯ সালে ইইউ ছাড়ার পর ব্রিটেন মোট ২০টি দেশ বা ব্লকের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিগুলোর আর্থিক মূল্য ১১১.৪ বিলিয়ন পাউন্ড বা ব্রিটেনের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৮ শতাংশ। অর্থাৎ নতুন চুক্তিতে অর্ন্তভুক্ত নেই ব্রিটেনের বাকি ৯২ শতাংশ বাণিজ্য।
যদি ব্রিটেনে দ্বিতীয়বারের মতো করোনা সংক্রমণ শুরু হয় তবে বেকারত্ব ১৫ শতাংশে পৌঁছবে। ব্রিটেনের অর্থনীতিবিদ অ্যান্ডু উইশার্ট বলেন, এতো অনিশ্চয়তার মুখে ফার্মগুলো বিনিয়োগ করতে চাইবে না। ইতোমধ্যেই ব্রেক্সিক একটা বাড়তি অনিশ্চয়তা যোগ করে দিয়েছে।