প্রধানমন্ত্রীর হুশিয়ারি: দুই সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিটেনে দ্বিতীয় ধাক্কা
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এই ১৫ দিনই করোনা মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেয়ার সময়।
ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পল হান্টার বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় তাণ্ডবের আগে আমাদের হাতে দুই সপ্তাহ সময় রয়েছে। ব্রিটেন পদক্ষেপ নিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তা খুবই মন্থর। করোনা মোকাবেলায় আগস্টের মধ্যেই নতুন সার্বজনীন পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ডেইলি মেইল জানায়, ২৩ মার্চ লকডাউন জারি করে ব্রিটেন। এতে ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। চাকরি হারিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। দেশটির অর্থনীতি গত ৩০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
এপ্রিলের প্রথম থেকে লকডাউন শিথিল হতে শুরু করে ব্রিটেনে। এর পরপরই কয়েক লাখ ব্রিটিশ সুপার সানডে উদযাপনে পাবগুলোতে ভিড় জমায়। লকডাউন শিথিলের প্রথম দিকে সংক্রমণ কিছুটা কম ছিল।
এপ্রিলে করোনা ভয়াবহ রূপ নেয়ার পর গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো দৈনিক সংক্রমণ হার বাড়তে শুরু করেছে। টানা সাতদিনে গড়ে আক্রান্ত শতাধিক, যা এর আগের তিন সপ্তাহের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি।
আগামী শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতে পারে বলে এর আগে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন ব্রিটিশ এমপিরা। কিন্তু সেই ধাক্কা আরও আগে আসছে। মঙ্গলবার নটিংহাম সফরকালে বরিস জনসন বলেন, ‘ব্রিটিশদের এখনই তাদের সুরক্ষাবিধি বাদ দেয়া উচিত নয়।
প্রত্যেক সম্প্রদায়ের উচিত হবে স্বাস্থ্য উপদেশ মেনে চলা। দুর্ঘটনাবশত সংক্রমণ হ্রাসে নাগরিকদের সতর্ক থাকতে হবে। এর ফলে দেশজুড়ে কড়াকড়ি শিথিল করা সহজ হবে।’ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়ছে।
এশিয়ার মতোই নতুন করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। এর ফলে দেশগুলো বাধ্য হচ্ছে নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করতে। জার্মানির রবার্ট কখ ইন্সটিটিউট সোমবার জানিয়েছে, দেশটিতে নতুন আক্রান্ত বৃদ্ধি পাওয়া খুবই উদ্বেগের।