৮৬ বছর পর এবার ঈদের নামাজ আয়া সোফিয়ায়

তুরুস্কের মুসলমানদের জন্য এবারের ঈদের দিন ছিলো অন্যরকম। করোনাযভাইরাসের কারণে নানা নিষেজ্ঞার পরও বিশষেভাবে উৎদযাপন করে তারা। কার এবার তাদের জন্য আয়া সোফিয়াকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া মসজিদে ৮৬ বছর পর ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন।

গত জুমার দিনে মসজিদটি নামাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৯৩৪ সালে মসজিদটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছিল। হাজার হাজার মুসল্লি তুরস্কের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রধান আলি এরবাসের ইমামতিত্বে ঈদুল আজহা তথা কোরবানি ঈদের নামাজ আদায় করেন।
মুসল্লিদের জন্য ওয়ান-টাইম জায়নামাজ, জীবাণুনাশক, মাস্ক এবং পানি সরবরাহ করেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। যারা মসজিদে জায়গা না পেয়ে বাইরে অবস্থান নিয়ে নামাজ আদায় করেছেন তাদের জন্য বড় ডিজিটাল স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এছাড়া আয়া সোফিয়ায় ঈদের নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের রূপার তৈরি স্মারক উপহার দেয় স্থানীয় ফাতিহ জেলার কর্মকর্তারা।
আয়া সোফিয়া ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে বাইজান্টাইন সম্রাজ্যের অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের সর্ববৃহৎ গির্জা হিসেবে নির্মাণ করা হয়। ১৪৫৩ সালে সুলতান মোহাম্মাদ ফাতিহ ইস্তাম্বুল বিজয় করে তা ক্রয় করেন এবং মসজিদ হিসেবে ওয়াকফ করে দেন।
ওসমানী খেলাফতের বিলুপ্তি ঘটলে ৪৮১ বছর পর ১৯৩৪ সালের ২৪ নভেম্বর কামাল আতাতুর্কের মন্ত্রিপরিষদ পশ্চিমা খ্রিস্টান বিশ্বকে খুশি করতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করে।
গত ১১ জুলাই তুরস্কের সুপ্রিম কোর্ট ১৯৩৪ সালের নভেম্বরে কামাল আতাতুর্কের জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে আবার তা মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ দেয়। পরে ২৪ জুলাই জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে ফের সেখানে নামাজ শুরু হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button