কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি তুর্কি প্রেসিডেন্টের
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক। শনিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে এক ফোনালাপে এ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টেরর অফিস থেকে টুইট বার্তায় জানানো হয়, ‘প্রেসিডেন্ট ডক্টর আরিফ আলভি ও প্রেসিডেন্ট এরদোগান টেলিফোনে আলাপচারিতায় ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তাদের মধ্যে কাশ্মীর ও কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তুরস্কের নেতা ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও ফোন করেছিলেন এবং দুই নেতা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এরদোগানকে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, ‘করোনাকালীন এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও ফিলিস্তিন এবং ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে দখলদার বাহিনী দমনপীড়ন চালাচ্ছে।’ জবাবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেছেন যে, তার দেশ কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে যাবে। গুরুত্বপূর্ণ এ ইস্যুতে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দুই দেশের লক্ষ্য অভিন্ন। এ সময় মহামারি কেটে গেলে পাকিস্তান প্রেসিডেন্টকে তুরস্ক সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান এরদোগান। জবাবে দীর্ঘ ৮৬ বছর পর হাইয়া সোফিয়াকে মসজিদে ফিরিয়ে আনায় এরদোগানকে অভিনন্দন জানান আলভি। এর আগে এরদোগানকে অভিনন্দন জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তিনি বলেন, হাজিয়া সোফিয়ার উদ্বোধনী জুমার নামাজ পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষ টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি দেখেছে। ফোনালাপের পর পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও এক টুইট বার্তায় তথ্যটি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ আগস্ট অধিকৃত কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসন বাতিল করে ভারতের মোদি সরকার। প্রত্যাহার করা হয় অঞ্চলটির জনগণকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা। রাজ্যকে দু’ভাগে পৃথক করা হয়। তৈরি করা হয় কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত জম্মু এবং কাশ্মীর নামে আলাদা দুটি অঞ্চল। ওই ঘটনার বর্ষপূর্তির কয়েকদিন আগে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ করলেন এরদোগান। গত সপ্তাহের শুরুতে কাশ্মীর দখলের দিনকে ‘শোষণদিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। হাতে নেয়া হয় বিভিন্ন আয়োজন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে কাশ্মীরে ভারতের চালানো নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে এদিন ভাষণ দিতে পারেন ইমরান খান।