কভিড-১৯ বদলে দিচ্ছে ফাস্ট ফুড সংস্কৃতি
আমরা কী কিনি কিংবা কী খাই, পান করি—সবকিছুতেই নাক গলাচ্ছে করোনাভাইরাস। দুনিয়ার বড় বড় ফাস্ট ফুড চেইনও দেখছে নানা পরিবর্তন। ম্যাকডোনাল্ড’স, ডানকিন, স্টারবাকস এমন তথ্যই দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন মানুষ ফাস্ট ফুডের দোকানে কফি বা স্যান্ডউইচ খেতে তেমন আসে না। বরং সবাই এক অর্ডারে অনেক বেশি খাবার কিনে নিচ্ছে। স্টারবাকস বলছে, এক অর্ডারে খাবার প্যাকেজের পরিমাণ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ডানকিনও একই প্রবণতার কথা জানিয়েছে।
সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে মানুষজন এখন ড্রাইভ-থ্রু দোকানকে বেশি ব্যবহার করছে। অর্থাৎ, গাড়ি থেকে না নেমে জানালা দিয়ে কেনাকাটা শেষ করছে। শিপোটলে দ্রুতগতিতে তাদের ড্রাইভ-থ্রু দোকানের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে।
তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্ডার বাড়ছে। ম্যাকডোনাল্ড’স থেকে স্টারবাকস, ডমিনোজ সবার ক্ষেত্রেই বেড়েছে ডিজিটাল অর্ডার। ট্যাকো বেল, পিত্জা হাট ও কেএফসির ডিজিটাল অর্ডার ১ বিলিয়ন থেকে সাড়ে তিন বিলিয়নে পৌঁছে গেছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায়। বেড়েছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্ডার।
ডানকিন কিংবা স্টারবাকসের মতো কফি চেইনগুলোর সকালের বিক্রি কমে গেছে। কারণ সকালে আগের তুলনায় লোকজন কম বের হচ্ছে। আর কফি খেতে আসছে আরো অনেক কম মানুষ। এমনকি ছুটির দিনের সকালেও গ্রাহকদের দেখা মিলছে কম।
সকালে না এলেও দুপুরে বেশ অনেক মানুষ ভিড় করছে স্টারবাকসের দোকানগুলোতে। বিভিন্ন অফিসে করোনার কারণে সময়সূচি বদলে গেছে। সে সঙ্গে বদলেছে মানুষের কফির খাওয়ার সময়ও। যুক্তরাষ্ট্রে মানুষরা এখন বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বেশি পরিমাণে কফি খেতে আসছে। সঙ্গে কিনছে চা-স্ন্যাকস।