রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকারের বিশাল ছাড়
সপ্তাহে তিন দিন প্রায় অর্ধেক দামে বাইরে খাবার সুযোগ করে দিতে এক কর্মসূচি চালু করেছে ব্রিটিশ সরকার। করোনা সংকটের ফলে বিপর্যস্ত রেস্তোরাঁগুলির সহায়তায় দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হোটেল-রেস্তোরাঁয় মানুষকে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটেনের সরকার ‘ইট টু হেল্প আউট’ কর্মসূচি চালু করেছে। এর আওতায় প্রায় অর্ধেক দামে খাদ্য ও পানীয় পাওয়া যাচ্ছে। গত সোমবার প্রথমবার সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ঠিক কত মানুষ এগিয়ে এসেছিলেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে সরকারি এই কর্মসূচির ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। আপাতত ৩ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এর মেয়াদ স্থির করা হয়েছে। এর আওতায় প্রতি সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে সর্বোচ্চ ১০ পাউন্ডের ছাড় পাওয়া যাবে। যতবার খুশি মানুষ বাইরে খেতে যেতে পারেন। নির্দিষ্ট দিনগুলিতে প্রতি বার এই ছাড় পাওয়া যাবে। তবে সস্তায় মদ্যপানের সুযোগ কিন্তু থাকছে না। অর্থাৎ ছাড় পেতে হলে পানীয় হিসেবে মদের বিকল্প বেছে নিতে হবে। ‘সার্ভিস চার্জ’ বা পরিষেবা সংক্রান্ত মাসুলের ক্ষেত্রেও ছাড় পাওয়া যাবে না।
গোটা ব্রিটেনজুড়ে প্রায় ৭২ হাজার ক্যাফে, বার, রেস্তোরাঁ, পাব, ক্যান্টিনসহ খাবার সরবরাহকারী সংস্থা সরকারের এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। এই উদ্যোগের ব্যয়ের অঙ্ক প্রায় ৫০ কোটি পাউন্ড ছুঁতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক এ কথা জানিয়েছেন।
শুধু আর্থিক ছাড়ের টানে কত মানুষ ঘর ছেড়ে রেস্তোরাঁয় বসে খাবার সাহস পাবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। বর্তমানে ব্রিটেনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে অনেক মানুষই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া প্রকাশ্যে বের হচ্ছেন না। ২৩ বছর বয়সি ম্যাট হ্যাডলি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রায় অর্ধেক দামে ইংলিশ ব্রেকফাস্ট খাবার সুযোগ পেলেও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এড়িয়ে চলা তার কাছে অত্যন্ত জরুরি। তার মতে ভারসাম্য খুঁজতে গেলে শেষ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ছাড়ের তুলনায় সুস্থ থাকার বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দিতে হয়। ম্যাটের মতো ব্রিটেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এমন ঝুঁকি নিতে না চাইলে এই কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। -ডয়চে ভেলে