চাকুরী ক্ষেত্রে অনিশ্চিয়তা
লন্ডনে ক্রেতা বৃদ্ধি সত্বেও প্রপার্টি মার্কেট চাঙ্গা হচ্ছে না
লকডাউন পরবর্তী বাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি এবং গত মাসে চালুকৃত স্টাম্প ফী মওকুফ সত্বেও লন্ডনে বাড়ির মূল্য হ্রাস পাচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ইন্ড্রাষ্ট্রি রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আগামী মার্চের পূর্বে লন্ডনে সম্পন্ন বিক্রির ওপর স্টাম্প ফী মওকুফের ফলে ক্রেতাদের ১৫০০০ পাউন্ড পর্যন্ত ট্যাক্স সাশ্রয়ের সুবিধা সত্বেও রাজধানীতে বাড়ির মূল্যের পতন লক্ষ্য করা গিয়েছিলো বলে জানিয়েছে ‘চার্টার্ড সার্ভেয়রস’ (আরআইসিএস) তাদের মাসিক সমীক্ষায়।
জুলাই মাসে এস্টেট এজেন্টদের শতকরা ১০ ভাগ নেট ব্যালেন্সের পতন উল্লেখ করেছে, যদিও কোভিড -১৯ লকডাউনের ঠিক পরে শতকরা ৫৪ ভাগ উন্নতি লক্ষ করা গিয়েছিলো। লন্ডন এস্টেট এজেন্টগণ ক্রেতাদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও দর্শনের বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে আসছে, বিশেষভাবে বাগানসহ বাড়ির ক্ষেত্রে এধরনের আগ্রহ তারা সবচেয়ে বেশী লক্ষ্য করছেন। এদের অনেকে লকডাউনের পর অস্বাভাবিক চাহিদা বৃদ্ধির ফলে গত ৫ বছরের মধ্যে তাদের সবচেয়ে ভালো মার্কেট হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
মার্কেটে বাড়ি আসা বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু দামের ক্ষেত্রে ছিপি এঁটে দিচ্ছে, যখন অনেক এজেন্ট বলছেন, ক্রেতাদের আগ্রহ বৃদ্ধি বিক্রয়ে রুপান্তরিত হচ্ছে না চাকুরী ও অর্থনীতির ব্যাপারে ভয়-ভীতির কারণে।
উইলম্বডন এস্টেট এজেন্টস এন্ড্রু স্কট রবার্টসন -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জন কিং বলেন, পরিসংখ্যান দর্শনের মাধ্যমে একটি বড়ো ধরনের আগ্রহ দেখা গেলেও এই রুপান্তরের হার দুর্বল। কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রত্যেক বিক্রির ৪০ টি ভিউইং মেনে নেয়ে যায় ।সঠিক সম্পত্তিটি ঘটমান উত্তম বিড সিনারিওসহ একটি বড়ো ধরনের আগ্রহ আকর্ষণ করবে।ভবিষ্যতের পানে তাকিয়ে আরআইসিএস সমীক্ষার উত্তরদাতাদের পূর্বাভাস হচ্ছে, স্টাম্প ফি মওকুফ ছোটখাটো হলেও বাড়ি বিক্রয়ে গ্রীষ্মকালীন চাঙ্গাভাব দেখা যাবে।
আরআইসিএস আগামী বছরে ফ্লাট কিংবা প্রান্তিক বাড়ির মূল্য বৃদ্ধির প্রতি ইংগিত করে বলে, আগামী ১২ মাস ব্যাপী তারা বাড়ির ঠিক ৮ শতাংশ করে মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাশা করছে।
উত্তর লন্ডনভিত্তিক জনৈক জরীপকারী কলিন প্রাইস বলেন, সরকারের স্টাম্প ফী মওকুফ চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে, তবে পদক্ষেপসমূহ স্বল্প সময়ের। মার্কেট আত্মবিশ্বাসের উপর নির্ভর করে, যা বিশাল চাকুরী হারানোর বিষয়ের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
লন্ডনের পরিসংখ্যান জাতীয় চিত্রের সাথে বৈপরীত্ব প্রদর্শন করছে, সেখানে আরআইসিএস উত্তরদাতাদের ১২ শতাংশ বাড়ির মূল্য একটি বৃদ্ধি এবং একটি নতুন ক্রেতাদের অনুসন্ধান ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন—যা জুলাইকে লকডাউন পরবর্তী চাহিদা বৃদ্ধির দ্বিতীয় মাসে পরিগণিত করেছে।
বন্ধক ঋণদাতা হ্যালিফিক্স -এর অতি সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পতনের ৪ মাস পর যুক্তরাজ্যে বাড়ির মূল্য একটি রেকর্ড পরিমাণ ৪২০০০ পাউন্ড বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে যখন অনলাইন প্রোপার্টি পোর্টাল রাইটমুভ – এ দেখা গেছে, লক ডাউন শুরুর পর থেকে যুক্তরাজ্য ২.৪ শতাংশ মূল্য বৃ্দ্ধি প্রত্যাশা করছে।