৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ
করোনার মধ্যে বেশিরভাগ সূচকের খারাপ অবস্থা থাকলেও বাড়ছে রেমিট্যান্স। এতে করে এই মহামারির মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে একে একে পাঁচটি রেকর্ড হয়েছে। জুন মাসের শুরুতে ৩৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়ে ৩৮ বিলিয়ন ডলার হয়। মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ গিয়ে ঠেকেছে ৩৮ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে গত ২৮ জুলাই প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল।
জানা গেছে, ঈদের পরও ব্যাংকিং চ্যানেলে ভালো রেমিট্যান্স আসছে। চলতি আগস্টের ১৩ দিনে ৮৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছে রেকর্ড ২৬০ কোটি ডলার। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড ছিল গত জুনে। ওই মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৮৩ কোটি ডলার। তার আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ১৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০১৯ সালের মে মাসে। এভাবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনা সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ ও অনুদান পেয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে এভাবে রিজার্ভে রেকর্ড হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স ব্যাপক বৃদ্ধির ফলে এভাবে রিজার্ভ বাড়ছে। মূলত ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত থাকা, করোনা সংকটের মধ্যে হুন্ডির চাহিদা কমাসহ নানা কারণে অনেকেই এখন ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠাচ্ছেন। যে কারণে সামগ্রিক অবস্থায় প্রবাসীরা খারাপ অবস্থায় থাকলেও রেমিট্যান্স বাড়ছে।
সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় যা ১৭৯ কোটি ডলার বা ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। এভাবে রেমিট্যান্স বাড়লেও গত অর্থবছর ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ আমদানি কমে পাঁচ হাজার ৫৯ কোটিতে নেমেছে। অবশ্য রপ্তানি ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ কমে তিন হাজার ২৮৩ কোটি ডলারে নেমেছে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে প্রচুর ঋণ এসেছে।