লিবিয়ার অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী অপহৃত

Libyan Prime Minister Ali Zeidanলিবিয়ার অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী আলী জেইদানকে অপহরণ করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। দেশটির সরকার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি জেইদানকে একটি হোটেল থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে।
কোরিনথিয়া নামে ওই হোটেলের কয়েকজন প্রহরীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টাসের্র খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীকে সেখান থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় গোলাগুলি বা সংঘষের্র কোনো ঘটনা ঘটেনি।
লিবিয়া সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তবর্র্তী সরকারের প্রধান আলী জেইদানকে সাবেক গেরিলাদের একটি গোষ্ঠী অজানা কারণে অজ্ঞাত গন্তব্যে ধরে নিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানী ত্রিপোলির কোরিনথিয়া হোটেল থেকে জেইদানকে অপহরণ করা হয়। গত কিছুদনি ধরে তিনি ওই হোটেলে অবস্থান করছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তাকে অপহরণের খবর অস্বীকার করে। তবে পরবর্তীতে এ খবর নিশ্চিত করা হয়।
মার্কিন কমান্ডোরা লিবিয়া থেকে একজন আল-কায়েদা জঙ্গি কমান্ডারকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পাঁচদিন পর এ অপহরণের ঘটনা ঘটল।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা সাবেক দু’টি গেরিলা গোষ্ঠীকে এ অপহরণের জন্য সন্দেহ করছেন। প্রধানমন্ত্রীকে মুক্ত করার চেষ্টা শুরু করেছে মন্ত্রিসভা এবং জেনারেল ন্যাশনাল কংগ্রেস’খ্যাত পার্লামেন্ট। সরকারি বিবৃতিতে জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার আল-কায়েদা নেতা লিবিকে অপহরণের পর ওই ঘটনার ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় ত্রিপোলি। দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে ওই ঘটনার সঙ্গে আজকের অপহরণের যোগসাজশ রয়েছে কি-না তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এদিকে, গত মঙ্গলবারই জেইদান তার দেশে জঙ্গিবাদ বন্ধে পশ্চিমাদের সহায়তা কামনা করেন। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, তার দেশ অস্ত্রের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
লিবিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর বিভিন্ন বিদ্রোহী দল ও জঙ্গি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। এখনো দেশটির অনেক অংশ ছোট ছোট বিভিন্ন বিদ্রোহী দলের নিয়ন্ত্রণে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে অপহরণ দেশটির জঙ্গিবাদ নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললো।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button