চাকরি হারাবেন ৫০০ কর্মী
মহামারীর প্রভাবে বন্ধ হয়ে গেল যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় এসটিএ ট্রাভেল
যুক্তরাজ্যে এসটিএ ট্রাভেলের ৫০টিরও বেশি শাখা বন্ধ হতে যাচ্ছে
কভিড-১৯ মহামারীর কারণে কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়া সর্বশেষ ট্রাভেল ফার্ম হতে যাচ্ছে এসটিএ ট্রাভেল। ছাত্রদের ট্রাভেল এজেন্সি হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়া প্রতিষ্ঠানটির আয়ে বড় আকারের পতন হয়েছে। যুক্তরাজ্যে এসটিএ ট্রাভেলের ৫০টিরও বেশি শপ রয়েছে, যেগুলো বন্ধ হতে যাচ্ছে। যেসব গ্রাহকের বুকিং রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যোগাযোগ করা হবে।
ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে এসটিএ উল্লেখ করে, আপনাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য এবং এ বিষয়ে অপর্যাপ্ত তথ্য দেয়ার জন্য দুঃখিত। শিগগিরই বিস্তারিত আপডেট জানানো হবে। এটিএ বন্ধ হয়ে গেলে যুক্তরাজ্যে কোম্পানিটির ৫০০ কর্মী চাকরি হারাবেন। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানিটির প্যারেন্ট কোম্পানি বলছে, মহামারীর ফলে পর্যটন শিল্প স্থবির হয়ে পড়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রিটিশ ট্রাভেল এজেন্টস বা আবতার এক মুখপাত্র জানান, এ খবরের ফলে পুরো পর্যটন শিল্পে নাড়া পড়ে যাবে এবং বর্তমানে নাজুক পরিস্থিতিতে থাকা এ খাতের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি হবে।
আবতা বলছে, এসটিএর মাধ্যমে বিক্রীত বেশির ভাগ ফ্লাইট ও হলিডে প্যাকেজ অ্যাটল স্কিমের আওতায় সুরক্ষা দেয়া হবে। ওই বীমা প্যাকেজের আওতায় বিভিন্ন হলিডে বুকিং সুরক্ষা দেয়া হয়।
যুক্তরাজ্যের বেসামরিক বিমান প্রশাসন (সিএএ) বলছে, সরকারি নির্দেশনা বা ফ্লাইট বাতিলের ফলে এসটিএ ট্রাভেলসে গ্রাহকদের বেশকিছু বুকিং বাতিলের বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত। যেসব গ্রাহকের বুকিং অ্যাটল দ্বারা সুরক্ষিত, তারা তাদের অনলাইন পোর্টালে দাবি করতে পারে।
স্টুডেন্টস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন বা এসটিএ যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৭১ সালে। ছাত্র ও তরুণদের কাছে জনপ্রিয় এ ট্রাভেল ফার্মটি দূরপাল্লার, অ্যাডভেঞ্চার ও একাডেমিক সেশন বিরতির সময়ের প্যাকেজ সরবরাহে দক্ষতা অর্জন করেছিল।