‘ইট আউট টু হেলপ্ আউট’ ৩ সপ্তাহে ৬ কোটি ৪০ লাখ বার ব্যবহৃত

চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক বলেছেন, ব্রিটিশ সরকারের ‘ইট আউট টু হেলপ আউট’ অর্থাৎ ‘সহায়তার জন্য খাওয়া’ স্কীম প্রায় ২০ লাখ লোকের চাকুরী সুরক্ষায় সাহায্য করবে। সর্বশেষ সমীক্ষা অনুসারে, খদ্দেররা প্রথম তিন সপ্তাহে ৬কোটি ৪০ লক্ষ বার এই স্কীম ব্যবহার করেছেন।
এখন স্কীমের চূড়ান্ত সপ্তাহ চলছে। স্কীমের আওতায় রেস্তোরাঁ, পাব ও ক্যাফেগুলোতে শতকরা ৫০ ভাগ ছাড়ে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মাথাপিছু ১০ পাউন্ড পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেয়া হচ্ছে। আতিথেয়তা খাতকে সহায়তা দানে উৎসাহিত করার জন্য আগস্টে প্রতি সোম, মঙ্গল ও বুধবার এই অফার দেয়া হচ্ছে।

ঋষি সুনাক আরো বলেন, এই স্কীম আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, আমরা খেতে কেমন ভালোবাসি এবং এ কার্যের মাধ্যমে আমরা আতিথেয়তা খাতের প্রায় ২০ লাখ লোকজনের চাকুরী রক্ষায় সহায়তা করছি।
রেস্টুরেন্টের বুকিং ওয়েব সাইট ‘ওপেনটেবল’ অনুযায়ী, গত সপ্তাহে সোম থেকে বুধবারের মধ্যে গ্রাহকের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৬১ শতাংশ বেশী ছিলো। ট্রেজারী জানায়, ৮৪ হাজার রেস্টুরেন্ট এ পর্যন্ত এই স্কীমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
‘ইট আউট টু হেলপ আউট’ স্কীমের লক্ষ্য হচ্ছে অতিথেয়তা শিল্পের ১৮ লাখ কর্মচারীর চাকুরী সুরক্ষায় সাহায্য করা, লোকজনকে স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোতে ফিরিয়ে আনা, যেখানে এখন সামাজিক দূরত্বের আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এপ্রিলে প্রায় ৮০ ভাগ আতিথেয়তা প্রতিষ্ঠান ব্যবসা বন্ধ করে দেয় এবং ১৪ লাখ লোক ফারলোকৃত (কর্মহীন) হয়ে পড়ে। অন্য যে কোন খাতের তুলনায় এ সংখ্যা সর্বাধিক। ‘ফ্রান্কো মানকা’ এবং ‘দ্য রিয়াল গ্রীক’-এর মালিক ফুলহ্যাম শোর-এর চেয়ারম্যান ডেভিড পেইজ বলেন, ‘ইট আউট টু হেলপ্ আউট’ ইতোমধ্যে আমাদের রেস্টেুরেন্ট গ্রাহকের সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশী বৃদ্ধি করেছে, এভাবে আমাদের স্টাফদের আমরা কর্মক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছি। আসলে, আমরা এখন নতুন চাকুরী সৃষ্টি করছি।
এই স্কীম অনুসারে, কোন ভাউচারে প্রয়োজন নেই, অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান বিল থেকে ৫০ শতাংশ কর্তন করবে, মাথাপিছু ১০ পাউন্ড পর্যন্ত ছাড় দেবে এবং দাবির মাধ্যমে এই অর্থ সরকারী কোষাগার থেকে পেয়ে যাবে। যা-ই হোক, ডিসকাউন্ট বা মূল্যছাড় শুধুমাত্র অঙ্গনে গৃহীত খাদ্য ও কোমল পানীয়র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং টেইকএওয়ের ক্ষেত্রে নয়।
আগস্টে কতোবার ডিসকাউন্টটি ব্যবহার করা যাবে কিংবা ছেলেমেয়েসহ কতোজন লোক ব্যবহার করতে পারবে, এর সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
তবে স্কীমটি সমালোচনারও মুখোমুখি হতে হয়েছে। জুলাইয়ে ‘ইনস্টিটিউট ফর ফিসক্যাল স্টাডিজ’ এই মর্মে পূর্বাভাস প্রদান করেছে, সম্ভবত: এটা একটি ‘গিভএওয়ে’ হবে, যা সচ্ছলদের যথেষ্ট পরিমাণ খাবারের সুযোগ দেবে। স্থলতা বিরোধী প্রচারকারীরা বলেন, এই স্কীম ‘জাংক ফুড’ অর্থাৎ মুখরোচক অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য সবুজ সংকেত স্বরূপ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button