‘প্রয়োজনে জার্মানী আরও ১০ লাখ অভিবাসী নেবে’
জার্মানীতে প্রয়োজনে আরও ১০ লাখ অভিবাসী নেবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ২০১৫ সালে জার্মানিতে যে লাখ লাখ অভিবাসী ঢুকে পড়েছিল সেজন্যেও কোনো দুঃখবোধ নেই মেরকেলের। বরং তিনি তার বিতর্কিত অভিবাসন নীতিতে অভিবাসীদের তার দেশে গমনের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে রাজি। বার্লিনে গত শুক্রবার বার্ষিক গ্রীষ্মকালীন সাংবাদিক সম্মেলনে তাকে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এমন অভিমত প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, যদি ২০১৫ সালের মত অভিবাসী সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। সাংবাদিকদের মেরকেল বলেন, যখন জার্মানি-অস্ট্রিয়া কিংবা হাঙ্গেরি-অস্ট্রিয়া সীমান্তে অভিবাসীরা দাঁড়িয়ে থাকে তখন তাদের সঙ্গে মানুষের মত ব্যবহার করা উচিত। ইউরোপকে এধরনের পরিস্থিতি আরো অনেকদিন মোকাবেলায় একই ধরনের শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অভিবাসীর মত বিষয় শেষ হয়ে যায়নি, একবিংশ শতাব্দীতে এটি অব্যাহত থাকবে। মেরকেল বলেন, কোভিড পরিস্থিতি আরো কঠিন সংকট তৈরি করছে। বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির জন্যে এ এক দুর্যোগ বয়ে এনেছে।
জার্মানিতে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে অন্তত ১০ লাখ অভিবাসী আশ্রয়ের আবেদন জানায়। ওই পরিস্থিতি ছিল মেরকেলের ১৫ বছর শাসনাকালে এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। জার্মান নাগরিকদের মধ্যে অভিবাসীদের নিয়ে প্রাথমিক সমর্থন সত্ত্বেও নির্যাতনের বেশ কিছু ঘটনায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। জার্মানির ১২টি শহরে অন্তত সাড়ে ১২’শ নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। অন্তত ২৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এধরনের অপরাধের সঙ্গে ইউরোপিয় নয়, এমন দেশের নাগরিক জড়িত ছিল। মেরকেল তুরস্কের সঙ্গে অভিবাসী নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছান। গত বছর জার্মানিতে ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৩ জন অভিবাসী প্রবেশ করেছে। এদের মধ্যে সিরিয়া থেকে এসেছে ৪১ হাজার ৯৪ জন।